তৌরব,সোনারগাঁঃনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানদের সমর্থন বানিজ্যকে কেন্দ্র করে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম ভেঙ্গে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলা জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হকের নেতৃত্বে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রউফ ও জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শীপলুর সমš^য়ে একটি কোরাম স¤প্রতি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মেম্বার ও পৌর কাউন্সিলরদের মতামত না নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাবুল ওমর বাবু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহমুদা আক্তার ফেন্সীকে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে সমর্থন জানিয়ে ঘোষনা দিয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি মেম্বারগণ ও পৌর কাউন্সিলরদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেম্বার ও কাউন্সিলররা জানান, উক্ত চার চেয়ারম্যান সমর্থন বানিজ্যের মাধ্যমে ৩ প্রার্থীর কাছ থেকে ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাই সমর্থন দেয়ার আগে তারা মেম্বার ও কাউন্সিলরদের মতামত নেয়ার কোন প্রয়োজন বোধ করেননি। তাদের একক সমর্থনকে আমরা মেনে নিব না। উপজেলা নির্বাচনে আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবো। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মেম্বার ও কাউন্সিলরদের অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেন।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তারা বিগত সংসদ নির্বাচনে এর প্রমাণও দিয়েছেন। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের মাঝে ঐক্যের ঘাটতি ও বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যার প্রভাব উপজেলা নির্বাচনে অবশ্যই পড়বে। এমনকি নির্বাচনে আগে ভেঙ্গেও যেতে পারে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম।
