তৌরব হোসেন, সোনারগাঁঃ সোনারগাঁয়ের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাতিল করে তাদের ভাতা বন্ধের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধারা।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে সোনারগাঁ প্রেসক্লাবের সভা কক্ষে এ সম্মেলন করেন তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রথম কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ মোল্লা বাদশা, মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, আলতাফ হোসেন, শফিকুর রহমান, সৈয়দ হোসেন, মফিজ মিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, দেশ ¯^াধীনের পর সোনারগাঁয়ে ২’শ ৯৩ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি গেজেটভুক্ত করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে যারা সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃত্ব দিয়েছেন পর্যায়ক্রমে তারা অর্থের বিনিময়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে সরকারি ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৫’শ ১৯ জন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর টেলিফোন অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সহযোগিতায় সে ফাইলটি গায়েব করার চেষ্টা করছেন। তাছাড়াও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি যুদ্ধকালীন কোন গ্রæপেই কমান্ডার ছিলেন না কিন্তু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় স্তম্ভের ফলকে তার নামের শেষে গ্রæপ কমান্ডার লেখা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন ২নং সেক্টরের গ্রæপ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান। সাংবাদিক সম্মেলনে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
তিনি আরো বলেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি ¯^াধীনতা বিরোধী ও চিহ্নিত রাজাকারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। তিনি উপজেলার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে টাকা এনে আত্মসাত করেছেন। তাছাড়াও বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন।
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে হেয় করার জন্যই একটি মহল মিথ্যা অভিযোগ করছে।