পুলিশের তৎপরতা নাই, ফুটপাতে ফের হকারদের রাজত্ব

334

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বছরের শুরুর দিকে শহরকে হকারমুক্ত করার ঘোষণা দেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। ঘোষণার পর বেশ কিছুদিন পুলিশের তৎপরতায় চাষাড়া চত্বরটি হকারমুক্ত থাকলেও ধীরে ধীরে পুলিশের তৎপরতা কমে আসলে ফের শহর হকারের দখলে চলে গেছে। শহরের ফুটপাত দখল করে অবাধেই ব্যবসা করে যাচ্ছে হকাররা। কেবল ফুটপাতই নয় পাশাপাশি দখল করে নিয়েছে সড়কের অর্ধেকাংশ। যার ফলে ফের দুর্ভোগে নগরবাসী।
গত ১০ই জানুয়ারি নগরীর শহীদ মিনারে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে নগরীকে হকার ও যানজটমুক্ত রাখার ঘোষণা দেন পুলিশ সুপার হারুণ অর রশিদ। ওইদিনই নগরীর সর্বত্র চলে উচ্ছেদ অভিযান। ঘোষণার ১০ থেকে ১৫ দিন হকারদের বিরুদ্ধে পুলিশের তৎপরতা ভূমিকা ছিলো লক্ষণীয়। তার পরবর্তী কিছুদিন হকার-পুলিশের লোকচুরি খেলাও দেখা যায়। একদিকে হকার তুলে দিলে অন্যদিকে আবার গিয়ে বসে পড়তো তারা। তার পরবর্তী কিছুদিন নগরীর সোনালী ব্যাংক থেকে সমবায় মার্কেট পর্যন্তই ফুটপাত হকারমুক্ত রাখতে শুরু করে পুলিশ। প্রথমে চাষাড়া হকারমুক্ত করে পরে পুরো সড়ক হকারমুক্ত করার লক্ষ্য ছিল এসপির। কিন্তু বেশ কয়েকদিন যাবত দেখা যাচ্ছে, চাষাড়াসহ পুরো বঙ্গবন্ধু সড়কজুড়ে হকারদের রাজত্ব।
১২ই মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সোনালি ব্যাংক থেকে ডিআইটি পর্যন্ত সর্বত্র হকারদের রাজত্ব। পুরো ফুটপাতই হকারদের দখলে। ফলে ফুটপাত ছেড়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রধান সড়ক দিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীরা। মূল সড়ক দিয়ে চলাচলের কারণে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তারা।
পথচারীরা বলেন, ফুটপাত তো হকারের দখলে। রাস্তা দিয়ে না হেটে তো উপায় নেই।
ফুটপাত দিয়ে হাটতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার ক্ষুব্দ এক পথচারী বলেন, ‘এই কারণেই হকারদের ফুটপাতে বসতে দেয় না।’
রফিক নামে ওই পথচারী বলেন, ‘পুলিশ তো নাটক করে। হকার উঠিয়ে দেবো বলে আর উঠায় না। সব ফাঁকা আওয়াজ।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হকার বলেন, আমরা কি করবো? আমাদের তো বাচতে হবে। উঠিয়ে দিলে তো আর কিছু করার থাকে না। সুযোগ পেলে আবার বসি।
এদিকে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) সাজ্জাদ রোমন বলেন, ‘হকারদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে। কিন্তু তারপরও যেহেতু বলছেন, তারা ফুটপাতে বসছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’