তৌরব হোসেনঃ আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আসন্ন এ নির্বাচনে সোনারগাঁ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৬ প্রার্থী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৬ প্রার্থীই নানা কৌশলে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চলছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে ইকবাল-বাবুল দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
স্থানীয় ভোটারদের সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু নাইম ইকবাল ও বাবুল হোসেন ওরফে ওমর বাবুর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা উভয়ই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কর্মী। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল হোসেন ওরফে ওমর বাবু উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আবু নাইম ইকবাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। প্রার্থী হিসেবে সোনারগাঁ উপজেলার অলিগলি, পাড়া-মহল্লায় উভয়েরই সুনাম ও প্রভাব রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কৌশলে আবু নাইম ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলো লক্ষণীয়। বিভিন্ন পর্যায়ে, তৃনমূল থেকে সর্বস্তরে তার প্রচারণা দেখা যায়। উপজেলার ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এবং গরীব-দুঃখীদের প্রতি সবসময় তার আন্তরিকতার ইমেজ প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে বিপুল পরিমান ভোট টানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একাংশের এবং জাতীয় পার্টির এম পি খোকার সমর্থন রয়েছে তার প্রতি।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় বাবুল হোসেনের রয়েছে অনেকের সমর্থন। তবে বিগত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে (২৫ ডিসেম্বর) কাঁচপুরে সিংহ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থক মাহবুব পারভেজের যুবলীগ কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উল্লেখিত কারণে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচনে ব্যাপক আলোচিত এই দুই প্রার্থী। তবে ফলাফল যাই হোক একটি সুষ্ঠ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করছে এই উপজেলার সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ৬ মার্চ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে ৪ প্রার্থী শাহ আলম মিয়া রূপন, আবু নাইম ইকবাল, জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়া ও বাবুল ওমর বাবুর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। এ সময় ঋণ খেলাপীর অভিযোগে মনির হোসেন ও রিটার্ন দাখিল না করায় শাহজালাল মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে আপিল করে তারা প্রার্থীতা ফিরে পান।