তৌরব হোসেনঃ সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যন পদে তালা প্রতীক নিয়ে লড়বেন বিশিষ্ট শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী আবু নাইম ইকবাল। পরোপকারী ও উন্নয়নবান্ধব এই প্রার্থীর পক্ষে উপজেলার দশ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে ইকবাল প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন। এতে তিনি উপজেলাবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, আগামী ৩১ শে মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করবেন। এরা হলেন- উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য আবু নাইম ইকবাল, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম রূপন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়া, নতুন মুখ বাবুল ওমর বাবু, মনির হোসেন ও সাংবাদিক শাহজালাল। এদের মধ্যে শাহ আলম রূপন ও জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়া একবার করে ভাইস চেয়ারম্যানী করেছেন। তবে উপজেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে থেকেও তারা ৫ বছরে উপজেলাবাসীর জন্য উল্লেখযোগ্য কোন কাজ করতে পারেননি। এ কারণে এবার তাদেরকে নিয়ে ভোটারদের মাঝে তেমন কোন আগ্রহ নেই। পক্ষান্তরে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আবু নাইম ইকবাল জনপ্রতিনিধি না হওয়া স্বত্তে¡ও দীর্ঘদিন যাবত ব্যক্তিগত অর্থায়ণে উপজেলার শিক্ষা ও ক্রীড়াঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন। তার সুদক্ষ পরিচালনায় ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে দেশ সেরা বিদ্যালয়ে পরিনত হয়েছে। যার দরুন দেশ ও দেশের বাইরে ইউনিসেফের মত আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও শিক্ষানুরাগীরা বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন। আবু নাইম ইকবাল বেশ কয়েকবার সোনারগাঁ উপজেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন এবং তার ভট্টপুর স্কুলও সেরা স্কুল হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। তিনি উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ব্যক্তিগত অর্থায়ণে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, টেবিল-চেয়ারসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ প্রদান করেছেন। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস ও শিক্ষা উপকরণ কিনে দিয়েছেন। পরীক্ষার ফি ও ফরম ফিলাপের টাকা দিয়েছেন। কোন শিক্ষার্থী অর্থাভাবে লেখাপড়া করতে না পারলে তিনি তার লেখাপড়ার ব্যয় বহন করেছেন। উপজেলার অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও রাস্তাঘাটে আবু নাইম ইকবালের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এছাড়া গরীব, দুঃখী ও অসহায় মানুষের প্রতি আবু নাইম ইকবাল সবসময় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এসব কারনে তিনি দলমত নির্বিশেষে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের পছন্দের প্রার্থী।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাবুল ওমর বাবু, মনির হোসেন ও শাহজালাল ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজেদের যোগ্যতার কথা বলে বলে ভোট চাইলেও এদের থেকে আবু নাইম ইকবাল জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন। কারন, তার যোগ্যতার কথা মানুষ আগে থেকেই জানে। তাই আগামী ৩১ শে মার্চ আবু নাইম ইকবাল বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।