তৌরব হোসেন, সোনারগাঁ প্রতিনিধি: সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ও সাদিপুর ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে এখানে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন অধিকাংশ প্রার্থী ও ভোটাররা। নির্বাচনের দিন সংঘর্ষের আশঙ্কায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের মাঝেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাঁচপুরে বিগত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুব পারভেজের কার্যালয় ভাংচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছিলেন মহাজোটের প্রার্থীর সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের ছোট ভাই বাবুল ওমর বাবু। যিনি এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিউওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। এই প্রার্থীর কর্মী মাসুদুজ্জামান মাসুদ ও আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ গত ১৭ মার্চ সাদিপুর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি এলাকায় তালা প্রতীকের পোষ্টার লাগানোয় মজিবুর ও এমদাদুল নামে তালার দুই সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে ২৩ মার্চ একই ইউনিয়নের সাদিপুর সিকদার বাড়ির মোড়ে তালা মার্কায় ভোট চেয়ে মাইকিং করায় বাবু ওমরের সমর্থক পারভেজ ও মোস্তফার নেতৃত্বে অপর একটি গ্রুপ মাইক ব্যবসায়ী শাহজাদা ও সিএনজি ড্রাইভার নীরবকে পিটিয়ে মেশিন, ব্যাটারী, মাইক্রোফোন ও মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে এবং নগদ টাকা ও একটি মাইক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মাইক ব্যবসায়ী শাহজাদা বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তাছাড়া বই প্রতীকধারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজালাল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সভায় বাবুল ওমর বাবুর সমর্থকরা তার পোষ্টার লাগাতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, বাবুল ওমর বাবু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাঁচপুর ও সাদিপুর ইউনিয়নের জন্য তার দুটি প্রভাবশালী ক্যাডার গ্রুপ তৈরী করেছে। যারা নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক সিল মারার চেষ্টা করবে। এসময় অন্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা বাধা দিলে যে কোন ধরনের অনাকাক্সিখত ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে এই দুই ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন তারা।