উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে আবু নাঈম ইকবাল জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ও জনসমর্থনে এগিয়ে

1220

মোঃ শামছুল আলম তুহিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী আবু নাঈম ইকবালের নির্বাচনী প্রচারনা ও গণসংযোগে নারী পুরুষসহ সকল বয়সের মানুষের ঢল নেমেছে উপজেলার সর্বত্র। নির্বাচনী গণসংযোগে তালা মার্কায় ভোট প্রার্থনাকালে যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই সকল বয়সের মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে এগিয়ে আসছে জনতার ঢল, রূপ নিচ্ছে জনপ্রিয়তা। উপজেলার সচেতন ভোটারগণ অন্যান্য প্রার্থীদের মিথ্যা অঙ্গিকারে না ভ‚লে নিজ নিজ সিদ্ধান্তে এই নির্বাচনে তালা মার্কায় ভোট দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। স্ব-উদ্যোগে এগিয়ে আসছেন তালা মার্কার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এই সদস্য আবু নাঈম ইকবাল বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে মনে করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। সকল স্তরের মানুষের মুখে বার বার স্লোগান উঠেছে-“সুখে-দুঃখে যাকে পাই, সে আমাদের ইকবাল ভাই”। “প্রার্থী হিসেবে তাকেই আমরা বিজয়ের মালা পরাতে চাই”।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু নাঈম ইকবাল জানান, আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি জনগণের পাশে থাকতে চাই। মানুষ হিসাবে আমি কেমন তা আজ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের প্রতিকে রূপ নিয়েছে আমার নির্বাচনী প্রতিক তালা মার্কা। মানুষের মুখে মুখে শুধু তালা মার্কা। সব কিছু ঠিক থাকলে ইন্শাআল্লাহ্ আগামীকাল ৩১ মার্চ তালা মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণ আমাকে বিজয়ী করবেন আশা করছি।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলা তরুণ সমাজ সেবক ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল এবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে স্থানীয় রাজনীতিক ও সাধারন ভোটারদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন তার সমর্থকরা। উপজেলার সর্বত্র তার ব্যানার-ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন শহর এলাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দোয়া ও ভোট প্রার্থণা করেছেন তিনি।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু নাইম ইকবাল দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সবসময় দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের পাশে বন্ধু এবং সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া উপজেলা জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের নিকটও একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব আবু নাইম ইকবাল। এ কারণে তিনি দলমত নির্বিশেষে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে পছন্দের প্রার্থী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় তরুন ও মেধাবি এই সমাজ সেবককে পর পর চতুর্থ বারের মতো উপজেলার শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান স্বরূপ পেয়েছেন তিনি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন থেকে অসংখ্য সম্মাননা পদক।

সোনারগাঁবাসীর সেবায় বেশ কয়েটি জনকল্যাণমুলক পরিকল্পনা নিয়েই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক আবু নাঈম ইকবাল। সমাজ সেবায় যিনি ইতিমধ্যে সোনারগাঁয়ের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পদার্পন হলেও তিনি বর্তমানে একজন শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেই সোনারগাঁবাসীর মাঝে সবচেয়ে বেশি সমাদৃত। উপজেলায় ক্রীড়া ও শিক্ষার উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখায় ইতিমধ্যে শিক্ষক সমাজ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সমর্থন ঘোষণা করেছে। তার পক্ষে কাজ করছেন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরাও। মাঠে নেমেছেন ক্রীড়া প্রেমী ও ক্রীড়া সংগঠকরা। এসব উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখায় স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন আবু নাঈম ইকবাল। তিনি ভোটারদের কাছে দাবি করেছেন, তার অতীতে উন্নয়ন কর্মকান্ড বিবেচনায় যেনো তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন সোনারগাঁয়ের মানুষ।

শিক্ষানুরাগী আবু নাঈম ইকবাল আরও জানান, বিগত ৫ বছরে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার আমলে সোনারগাঁয়ে অনেকগুলো উল্লেখ্যযোগ্য জনবান্ধব কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সামনের দিকেও আমরা যেসব অবহেলিত জনপথ রয়েছে সেগুলোর কাজ করব। এসব কাজে সকল জনপ্রতিনিধিরাও সচেষ্ট আছেন। চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সকলেই বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করতে কাজ করছেন। এসব কাজে আমিও ভ‚মিকা রাখতে চাই। ভাইস চেয়ারম্যান পদে থাকলেও এসব কাজে সরাসরি নিজেকে নিয়োজিত রাখা যাবে এবং শতভাগ কাজগুলো করা যাবে।

‘তাই জনগণ যাচাই করবেন কাকে দিয়ে মানুষের উন্নয়ন হবে, কাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে এলাকার উন্নয়ন হবে। আমি কোনদিন চাঁদাবাজি লুটপাট করিনি। তাই আমি চাই উপজেলা পরিষদের এই চেয়ারে বসে যেনো কোন চাঁদাবাজ, লুটপাটকারী চেয়ারটাকে অপবিত্র না করে সেই দিক বিবেচনা করে আপনারা ভোট দিবেন। এটাই আমার চাওয়া। আপনারা যদি আমার অতীত কর্মকান্ড বিবেচনা করেন তাহলে আমি আশা করব আপনারা আমাকেই ভোট দিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেযারম্যান পদে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।’ তিনি বলেন, আমি আপনাদেরই এলাকার সন্তান। তাই আপনাদের উপর আমার অধিকার বেশী। সেই অধিকার নিয়ে আমি আপনাদের কাছ থেকে ভোট দাবি করছি। আপনারা এমন লোককে ভোট দিবেন না যারা সমাজে সন্ত্রাসী করে বেড়ায়। চাঁদাবাজদের ভোট দিলে সমাজ কখনো সুন্দর হয় না। এসব লোক থেকে নিজেকে এবং অপরকেও নিরাপদ রাখতে হবে। তাই আগামীকাল ৩১শে মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতিকে সবাইকে ভোট দিতে অনুরোধ করছি।

জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটের মাঠে সবার আগে রয়েছেন একমাত্র আবু নাঈম ইকবাল। কারন উপজেলায় নির্বাচিত হতে হলে শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শ্রেণি, ক্রীড়া প্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন মুখ্য বিষয়। যাদের সমর্থন ইতিমধ্যেই তিনি পেয়েছেন।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, আবু নাঈম ইকবাল রাজনীতিবিদের চেয়ে একজন শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত। আগামীকাল ৩১ মার্চ সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন এই শিক্ষানুরাগী। যিনি উপজেলার শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা রেখেছেন। বর্তমানে তিনি সোনারগাঁ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, খেলাধুলার দিকে যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজকে আটকে রাখতে পারলে মাদক থেকেও তাদের দুরে রাখা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে তিনি স্বপ্ন দেখেন সোনারগাঁ থেকে একদিন জাতীয় ক্রিকেট দলে ও জাতীয় ফুটবল দলে জাতীয় মানের খেলোয়ার ওঠে আসবে। সেই লক্ষ্যেইে তিনি কাজ করছেন। যে কারনে উপজেলার ক্রীড়া প্রেমী ও ক্রীড়া সংগঠকদের প্রথম পছন্দ আবু নাঈম ইকবাল। ক্রীড়া প্রেমীরাও ইতিমধ্যে আবু নাঈম ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলায় শিক্ষার মান-উন্নয়নে বিভিন্ন কাজ করে আসছেন। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্যও তিনি, রয়েছেন সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে। এই বিদ্যালয়টি বেশ কয়েকবার ফলাফলে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। যার মুল ভ‚মিকায় ছিলেন আবু নাঈম ইকবাল নিজেই। তিনি সোনারগাঁ মহিলা কলেজের দাতা সদস্যও। আরও অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও তিনি জড়িত। কাজ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নানা সমস্যাগুলো তিনি সমাধানে কাজ করেছেন। শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো তিনি স্থানীয় এমপি ও ইউএনও এর কাছে তুলে ধরেন এবং সমাধানেও নিজেকে জড়িয়ে ভ‚মিকা রাখেন সরাসরি। যে কারনে উপজেলায় শিক্ষকদের পছন্দও তিনি। ইতিমধ্যেই উপজেলার শিক্ষক সমাজ তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সমর্থন করেছেন।

স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থন, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থন ছাড়াও শিক্ষক সমাজ, ক্রীড়া প্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক এবং জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন নিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই রয়েছেন আবু নাঈম ইকবাল। তবে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন এই শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক। এদিকে তার সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের ও মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ব্যাপক প্রশংসা করে বলেছেন, আবু নাইম ইকবাল আমার ছোট ভাইয়ের মত। সে গত ৫ বছর আমার সঙ্গে রাজনীতি করেছে। আমার উন্নয়নমুলক সকল কাজে সহযোগিতা করেছে।

আবু নাঈম ইকবাল প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগে গিয়েছেন, আর গণসংযোগে ভোট চাইতে গেলে তাকে সেখানকার সকল স্তরের সকল বয়সীরা দোয়া ও সমর্থন করেছেন। এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার আশির্বাদপুষ্ট সৎ, আদর্শবান ও সুশিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে আবু নাঈম ইকবাল হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবেই এগিয়ে রয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভোটাররা।