নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ার চারপাশে জোরদার পুলিশী অবস্থান,সঙ্গে সাঁজোয়া যান ও জলকামান

573

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দুপুর থেকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ার চারপাশে জোরদার পুলিশী অবস্থান। ছিলো অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য, সঙ্গে সাঁজোয়া যান ও জলকামান। যার ফলে নগরবাসীর মধ্যে তৈরী হয় কৌতুহল। হঠাৎ কেন এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় হঠাৎ নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে ১০ থেকে ১২টি পুলিশ যান ডিআইটি’র দিকে যেতে দেখা যায়। এতে নগরবাসীর মধ্যে তৈরী হয় আতঙ্ক। কি হতে চলেছে নগরীতে। এমতাবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু সড়কে দেখা যায় পুলিশ সুপার হারুণ অর রশিদের উপস্থিতি। প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নগরীতে মহড়া দিতে দেখা যায় তাকে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার হারুণ অর রশিদ বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝেই নগরী পরিদর্শন করি। আজকের পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হলো, ফুটপাত পরিষ্কার আছে কিনা তা দেখা। দেখলাম ফুটপাত পরিষ্কার আছে, জনগণ হাটাচলা করতে পারছে। ডিসি সাহেব যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেন, সিটি কর্পোরেশন যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেন তাহলে আমাদের কাজগুলো আরও সহজ হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যতটুকু পারছি ফুটপাত হকারমুক্ত রাখার জন্য কাজ করছি। ভাষাসৈনিক সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, লিংক রোড পরিষ্কার রাখার জন্য আজকে আমাদের এই অভিযান।’
হকারদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হকারদের বিষয়টা আমরা দেখছি। তাদের অন্য কোথাও স্থানান্তর করা যায় কিনা।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নুরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মেহদী ইমরান সিদ্দিকী, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও-১ মোঃ মোমিনুল ইসলাম, ডিআইও-৩ মোঃ শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।