নিজস্ব রিপোর্টারঃ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকে অভয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের খোঁজ খবর রাখেন। তিনি খোঁজ রাখেন কিনা তা আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে টের পাইয়া যাবেন।
৬ই এপ্রিল শনিবার বিকেল ৪টায় ইসদাইরে অবস্থিত বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত এক জরুরী কর্মীসভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, সিনিয়র নেতারা রাগারাগি করছে, হৈচৈ করছে। আমি বলছি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়া? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তো শেখ হাসিনা। তিনি কি নারায়ণগঞ্জের খোঁজ-খবর রাখেন না? শুধু একটা কথাই বলি, তিনি নারায়ণগঞ্জের খোঁজ-খবর রাখেন কি রাখেন না তা আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে টের পাইয়া যাবেন।
তিনি আরও বলেন, ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিক কাউকে প্রশ্ন করবে, প্রশ্ন করায় তাকে জুয়ার মামলার আসামি কইরা দিবেন। আমার আত্মীয়-স্বজনকে মদের সাপ্লাইয়ার বানাবেন। মনে করবেন, আমি ভয় পেয়ে যাব। এইগুলি কইরা আমাকে কাবু করতে পারবেন না।
আওয়ামীলীগের এই সাংসদ বলেন, সমস্যা একটাই, আমাদের হাত-পা বাঁধা। বাদল, খোকন সাহা, চন্দন সবাই বলছে, কোন কথা চাই না, কর্মসূচি দেয়া হোক। তারা বলছে, পুরো নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ কইরা পুরা নারায়ণগঞ্জ বন্ধ করে দেবো। আমি বলছি, নারায়ণগঞ্জে সবার পাশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সহ সভাপতি চন্দন শীল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল প্রমুখ।