ব্যবসায়ী সেলিম হত্যার বিচার না হলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যা করবে নিহতের স্ত্রী রেখা

715

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ ফতুল্লায় ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী হত্যার বিচার না হলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানিয়েছে নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা। রেখা বলে, ‘যারা আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই খুনিরা যাতে কিছুতেই পার না পায়। খুনিরা যদি কোনোভাবে পার পেয়ে যায় তাহলে আমার একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে চাষাড়া শহীদ মিনারে আত্মহত্যা করব। আর এ আত্মহত্যার জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ি থাকবে। আমার স্বামীর হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীসহ তার সহযোগিদের ফাঁসি চাই।’
১৩ই এপ্রিল শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বক্তাবলী সংগঠন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের ব্যানারে ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে রেখা এসব কথা বলে।
রেহেনা আক্তার রেখা আরও বলে, ‘আমার স্বামী একজন সহজ সরল ব্যক্তি ছিলেন। কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেননি। এমনকি কারও সঙ্গে ঝগড়া করেননি। আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে দুই লাখ টাকা ধার দিয়ে কি অপরাধ করেছিল? যার কারণে সেই টাকা আত্মসাৎ করতে মোহাম্মদ আলী তার সহযোগিদের নিয়ে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করল। আমি চাই খুনি মোহাম্মদ আলী গংরা যাতে কিছুতেই বের হতে না পারে সেজন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনরোধ করছি।’
বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি আলামিন ইকবালের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বারী, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ মাস্টার, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাসেল চৌধুরী, আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন, ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, অগ্রযাত্রার সভাপতি বাদল হোসেন ববি, নিহত সেলিম চৌধুরীর মা মমতাজ বেগম, ছেলে রিতুল চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর মাটি খুড়ে ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক ফয়সাল। ফয়সাল জবানবন্দিতে বলেন, ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে এবং উপস্থিতিতে সেলিমকে হত্যা করে সে। এ মামলার অন্য দুই আসামি মোহাম্মদ আলী ও সোলায়মানকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। আগামী সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।