স্টাফ রিপোর্টার: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের একাতœতা প্রকাশ করে সে সময় যে ক’জন সহচর আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন। আবদুুল জলিল। বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহ ও আস্থাভাজন ব্যাক্তি ছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের আলোকোজ্জল মানুষ একেএম শামসুজ্জোহা, আলী আহাম্মদ চুনকা, ভাষা সৈনিক মফিজুল ইসলাম ও আনসার আলীর পাশপাশি এই আবদুল জলিলও দলের জন্য নিবেদিত ছিলেন। তার বাড়িতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আবব্দুল জলিলের বাস ভবনে প্রতিনিয়তই আনাগোনা করতেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের তৎসময়কার নীতি নির্ধারক যথাক্রমে একেএম শামসুজ্জোহা, আলী আহাম্মদ চুনকা, ভাষা সৈনিক মফিজুল ইসলাম, আনসার আলী, অধ্যাপিকা নাজমা রহমানসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের অবাধ সমাগম ছিল। বিভিন্ন সময়ে তারা সভা সমাবেশ এই বাড়ি থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতেন। নানা কর্মকান্ডের কারণে একরকম সন্তুষ্টি হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯৫৬ সালের ২৩জুন) মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠক আবদুল জলিলকে একটি চরিত্রগত সনদ উপহার দেন। সনদপ্রাপ্তির পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ আবদুল জলিল আওয়ামীলীগকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসতেন। আওয়ামীলীগকে ভালবেসেই তিনি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত ১৯৮৭ সাালের ১০ মাার্চ সালের ইন্তেকাল করেন সেই থেকে তার পরিবারের সদস্যরাও আওয়ামী রাজনীতি বুকে ধারণ করে আসছেন। বিশেষ করে তার বড় ছেলে আব্দুল্লাহ বাবুু ৬৯’র গণ অভ্যূত্থান হতে শুরু করে,স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন,৭৫’রে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। বিএনপি জোট সররকারে আমলেও আন্দোলন সংগ্রামে আব্দুল্লাহ বাবু’র সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। তিনি বন্দর থানা আওয়ামীলীগের দীর্ঘ দিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালণ করেন,মেজো ছেলে মোঃ সেলিম রেজা বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি থাকাবস্থায় বিগত ২০১৬সালে ইন্তেকাল করেন। সেজো ছেলে জাহাঙ্গীর আলম স্বপন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ক্রীড়া ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তার মেজো ছেলের সন্তান সোহাগ নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালণ করছেন। আবদুল জলিলের গোটা পরিবার আওয়ামী পরিবার হিসেবে জেলা জুড়ে সমাদৃত হলেও দলের জন্য নিবেদিত এ পরিবারটি ক্ষমতাসীন ঘরনার হয়েও আদৌ কোন সুযোগ সুবিধা তারা পাননি। এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আব্দুল্লাহ বাবু অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গে বলেন,দীর্ঘ ৪ যুগ ধরেই আওয়ামীলীগকে বুকে লালন করে আসছি। কখনো দলের নাম অপব্যবহার করিনি। কোন টেন্ডারবাজী কিংবা ক্ষমতার প্রভাব বিস্তাবও বিস্তার করিনি বর্ণাঢ্য এ সময়টাতে সাদামাটা জীবন যাপন করেছি। তবু নিজের আদর্শচ্যুত হইনি। আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে যে সম্মান পেয়েছেন এরচেয়ে আর বড় কিছু হতে পারেনা। তবে ইদানীংকালের নব্য আওয়ামীলীগারদের কর্মকান্ড দেখলে মনটাকে আর শান্তনা দিয়ে রাখতে পারিনা। দলের নামে তারা চাঁদাবাজী,টেন্ডারবাজী লুটতরাজ চালাচ্ছে। রাতের আধারে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। আবার দল থেকে তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হচ্ছে। জানিনা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আমাদের পরিবারের নাম আছে কি না। আওয়ামী পরিবার হিসেবে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী’র কাছে আমাদের জোরালো দাবি, আওয়ামী পরিবার হিসেবে আপনার কাছে আমাদের জোরদাবি প্লীজ আর যাই হোক অন্তত আমরা একটি আদর্শ আওয়ামী পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি চাই।