পুলিশের সোর্স রনির বিরোদ্ধে সাংবাদিক সোহেলের অভিযোগ

599

সময়ের চিন্রা ডট কমঃ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক সোহেলকে প্রাননাশের হুমকি দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রনির বিরোদ্ধে সাংবাদিক সোহেল গত ২৫/০৪/১৯ ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করে। নারায়নগঞ্জের শহিদ নগর ডিয়ারার সৎ বাব কবির হোসেন ও ছেলে পুলিশের সোর্স কসাই রনি দুদর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী বলে এলাকাবাসী জানান। কবির ও রনির নামে একাদিক বার একাদিক পত্রিকায় মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। শহিদ নগর ডিয়ারার এক যুবক রাকসুকে গলা কেটে হত্যা মামলার আসামী এই কসাই রনি। একই এলাকার কালি সেলিনার বাড়ীর ভাড়াটিয়া রাদিকা কসাই রনির কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কসাই রনি রাদিকার উপর হামলা করলে রনির বিরোদ্ধে নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করে রাদিকা। ঐ মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খেটে বের হয়ে আবার জুলুম অত্যাচারে লিপ্ত হয় কুখ্যাত, সন্ত্রাসী, পুলিশের সোর্স কসাই রনি। এই সকল অপকর্মে সহযোগিতা করছে তার মা কালি সেলিনা ও তার সৎ বাবা কবির হোসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বয়স্ক এলাকার লোক বলেন- এই কবির হোসেনও পুলিশের সোর্স বলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আছে বাপ পুত মিলে।
এলাকাবাসী আরও জানায়-বাপ-পোলা পুলিশের সোর্স, কুখ্যাত রনির জেঠা জহিরুল ইসলাম ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেনের নামধারী পি এস হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় অসামাজিক, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। পুলিশের সোর্স বলে নারায়নগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানা যায়। বিভিন্ন মামলায় আটক, গ্রেফতার হলেও অদৃশ ক্ষমতার বলে পুলিশের হাত ও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়।
সাংবাদিক সোহেলের অভিযোগের ইনভেস্টিগেশন অফিসার এ এস আই এনায়েত বলেন- “আইনের উর্ধে কেউ না। আমার সোর্স হিসেবে মাঝে মাঝে কাজ করে। তবে অন্যায় করলে তাকে ছাড় দিব না।’’ তবে সোহেল বলেন আজ তিনদিন অতিবাহিত হচ্ছে এনায়েত সাহেব কোন রকমের পদক্ষেপ নেয়নি, বরং আমাকে এনায়েত সাহেব নানা রকম বিভ্রান্তমুলক প্রশ্ন করছে। সোহেল আরও বলেন, সদর থানার ওসি তদন্ত মিজান সাহেব এ এস আই এনায়েতকে ডেকে জরুরীভাবে ব্যবস্থা নিতে বললেও এনায়েত কোন ধরনের ব্যাবস্থা নেয়নি।
ওসি তদন্ত মিজান বলেন- অভিযোগের আই ও কে বলে দিয়েছি জরুরীভাবে ব্যবস্থা নিতে।
সদর থানার ও সি কামরুল ইসলাম বলেন- অপরাধী যেই হোক তাকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সোহেল জুম্মন পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিনপাত করছে। আইনি সহযোগিতা ও মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসীর বিরোদ্ধে ব্যবস্থার জন্য নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।