জাহেদ আলীর অত্যাচার থেকে রক্ষার পেতে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের হস্তক্ষেপ কামনা

486

বিশেষ প্রতিনিধিঃ রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদ আলীর অত্যাচার থেকে রক্ষার পেতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে গোপনে আবেদন করছে এক নিরীহ ব্যবসায়ী।আবেদনটি হুবোহুব তুলে ধরা হল।
জনাব, ছালাম নিবেন, সর্ব প্রথম আপনার আইন শৃক্সখলা নিয়ন্ত্রণ ভ‚মিকা প্রশংসার অধিকারী। আপনার প্রতি আমাদের সাধারণ নিরীহ মানুষের লক্ষ কোটি দোয়া রহিল। আমরা শুনেছি আপনার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশের অতন্ত্র প্রহরী ছিলেন, তারা যুদ্ধ করেছে, দেশ স্বাধীন করে দেশের মানুষকে সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে দিবে। আপনার পিতার অসমাপ্ত কাজ আপনি সমাপ্ত করছেন বা চেষ্টা করছেন, আমরা দোয়া করি আপনার পক্ষে তা সম্ভব।
এখন যে কারণে আপনাকে এ পত্রটি দেয়া, রূপগঞ্জ থানাধীন কায়েত পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদ আলী তার পিতা মৃত নোয়াব আলী সে অত্র এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড়, ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুখের আহার কেড়ে নিচ্ছেন, তার প্রতিকার চাই। তার চাঁদাবাজীর ধরণ এবং অত্যাচারের ধরণ নিম্নরূপঃ
১।পহেলা রমজান থেকে অত্র এলাকার ছোট ছোট ডকগুলিতে এস.পি সাহেবের নামে প্রতি ডক হইতে ৩০ হাজার টাকা করে আদায় করছে, ২৫ রোজার মধ্যে এস.পি সাহেব কে টাকা দিতে হবে।
২।অত্র এলাকার প্রত্যেকটি ডকে লোহার গর্দ্দা তার ইচ্ছামত মূল্যে তাকে দিতে হবে। না দিলে ঐ এলাকায় ব্যবসা করা যাবে না।
৩।অত্র এলাকায় জাহাজ নির্মাণের জন্য গ্যাসের বোতল ডিলার থেকে ১০৫০ টাকায় কিনা যায়। যে ডিলারই গ্যাস আনুক তাকে প্রতি বোতলে ৫০০ টাকা বাধ্যতামূলক দিতে হবে।
৪।অত্র এলাকার জাহাজ নির্মাণ শেষে নদীতে নামার সময় প্রতি জাহাজে ৬ লক্ষ টাকা তাকে দিতে হয়, যাহা অন্যান্য এলাকায় মজুরী ৩ লক্ষ টাকা কেউ যদি কোন প্রকার প্রতিবাদ করে তবে তার ব্যবসা বন্ধসহ অমানুসিক অত্যাচার ও বিভিন্ন প্রকার মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়। এমন প্রতিবাদী ৩ জন যুবক (১) আরিফ হোসেন, (২) দিলবার হোসেন, (৩) সাঈদ তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে খুনের মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা নেয়।
৫।অত্র এলাকায় সিটি গ্রæপ অনেক জমি ক্রয় করেছেন। এগুলি বেশির ভাগ তার মাধ্যমে কোম্পানী যে দাম দেয়, জমির মালিক তার অর্ধেকও পায় না। এমন কি জাল দলিল করে অন্যের জায়গা নিজের নাম করে কোম্পানীতে বিক্রি করেছে। এ ধরণের অনেক অপকর্ম সে করছে।

আমি এ পত্রটি আপনাকে দিলাম। আমার নাম ঠিকানা দিতে আমি সাহস পাই না। সে যদি জেনে যায়, তবে আমাদের বিশাল ক্ষতি করবে এবং আমাদের ছেলে মেয়েরা এতিম হয়ে যাবে। তাই আমাদের নাম ঠিকানা গোপন রাখার জন্য অনুরোধ জানাই। উক্ত তথ্য সত্য এবং হালাল, তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা নিলে আমরা শান্তি পাবো। ইদানিং অত্র এলাকায় কোন জাহাজ মালিক জাহাজ নির্মাণ করতে আসিতে চায় না। শুধু বলে জাহেদ আলীর এলাকা আতঙ্ক। অত্র এলাকার অনেক ডক থেকে এঙ্গেল পেলেট চুরি করে নিয়ে সে এম.বি আলী নামে একটি বালির জাহাজ বানায়। তার জাহাজের রেজিষ্ট্রেশন নাই। নৌ পুলিশকে মাসিক দিয়ে নদীতে চলে। এ ধরণের কর্ম করে ঢাকায় ৪টি বাড়ী করে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ী ঘর ও জমি কিনে। যার বর্তমানে ২০০ কোটি টাকার অধিক সম্পদ। এক সময় আদম ব্যবসা করে মানুষের অনেক টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে থেকে পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেয়। আর ভয়ে তাকে কেউ কিছু বলতে পারে না।
তাই আপনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ তদন্ত দ্বারা এর ব্যবস্থা নিলে ও তাহার মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে (মোবাঃ ০১৬৩৩০৮৯৮২২)। এতে করে এলাকার মানুষ যেমন শান্তি পাবে এলাকায় অনেকেই জাহাজ নির্মাণ করতে আসবে। অনেক ছোট বড় মানুষ কর্ম করে খেতে পারবে। আপনি পাবেন আমাদের দোয়া।