স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মিমাংসা না পেয়ে এক পরিবারের ১০ সদস্য মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। গতকাল রোববার দুপুরে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে ওই ভ‚ক্তভোগী পরিবার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধনে ভ‚ক্তভোগী আলী আরশাদ ও তার পরিবারের ১০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এসময় আলী আরশাদ, স্ত্রী শাহানা বেগম, ছেলে সাব্বির হোসেন বক্তব্য রাখেন। এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভূক্তভোগী আলী আরশাদ, স্ত্রী শাহানা বেগম, ছেলে রমজান, সাব্বির, আমির হোসেন, দুই ছেলের স্ত্রী মমতাজ বেগম, লিজা আক্তার, নাতনি ফাহমিদা আক্তার, ফারিহা।
মানববন্ধনে ভ‚ক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, দরপত ঠোঁটালিয়া গ্রামের মৃত কদম আলীর ছেলে মো. আলী আরশাদ দরপত ঠোটালিয়া মৌজায় ৩০ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখল করে আসছে। এ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ আলী ও সেরাজুল ইসলাম জমির মালিকানা দাবী করে। ওই জমি নিয়ে ৭-৮ দফায় বিচার শালিসও হয়। বিচার শালিশে আলী আরশাদের পক্ষে কাগজপত্র সঠিক থাকলেও ওই এলাকার গ্রাম্য সালিশকারী সালাউদ্দিন বিরোধীতা করে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দ্বন্ধ লেগেই থাকে। এ নিয়ে থানায় একাধিকবার সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেন্টু চন্দ্র সিংহ মিমাংসা করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ভ‚ক্তভোগী আলী আরশাদ সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের কোন মিমাংসা না পেয়ে ভ‚ক্তভোগী ওই পরিবার আকষ্কিকভাবে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে এসে ওই পরিবারের ১০ সদস্য মানববন্ধন করেন।
ভ‚ক্তভোগী আলী আরশাদ বলেন, মাহমুদ আর আমি এক সঙ্গে আদমজিতে চাকুরি করতাম। সেই সুবাধে মাহমুদ আমার আদমজিতে ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করিয়ে আমাকে ৯৮ সালের দিকে এই ৩০ শতাংশ জমি ক্রয় করে দেয়। পরবর্তীতে সে-ই আবার এ জমির মালিকানা দাবী করে আসছে।
সোনারগাঁ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিনের বিরোধ নিরসনের জন্য আমরা ৫-৬বার বিচার সালিসে বসেছি। কিন্তু এ সমাধান করতে পারিনি। একবার সমাধানে এসেও পরবর্তীতে এ সালিশ কেউ মানেননি।
এদিকে মানবাধীকার কর্মী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আলী আরশাদের ক্রয়কৃত ১৪৪ নং দাগে মোট জমি ৩১ হতে ৩০ শতাংশ। বিবাদী পক্ষ একই দাগে ৩৫ শতাংশ জমি কিভাবে খরিদ করে মালিকানা দাবী করে ? আমরা কাগজপত্র দেখেছি বিবাদী পক্ষের দাবীকৃত ৩৫ শতাংশ জমি হবে ১৪৫ নং দাগে। ভুলবশত বিবাদীরা ১৪৪ নং দাগে জমি দাবী করায় এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের সাথে এবিষয়ে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ০১৮১৫৬৫৬৭৪২, ০১৯৫৪০৭৮৬৬৪ বন্ধ করে রাখেন।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভ‚ক্তভোগী পরিবারকে এসিল্যান্ডের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে। আমি এসিল্যান্ডকে বলে দিচ্ছি এটির দ্রæত সমাধান করে দিতে।