নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মেঘনা নদীর তীরে গড়ে উঠা একাধিক শিল্প কারখানার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সময় নদীর তীরের একটি চক্রের ভরাট করে বালু পাথর ও ড্রেজারের পাইপ নিলামে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বিক্রি করা হয়।
সোমবার (২০ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বেশ কয়েটি শিল্প কারখানার দখলে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বিআইডবিøউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়্যারমান কমডোর মাহাবুব-উল-ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক গুলজার হোসেন, উর্ধ্বতন পরিচালক শহিদুল্লাহ প্রমুখ।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক গুলজার হোসেন জানান, মেঘনা নদীর তীরবর্তী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার চর বেতাকি খাঁন ব্রাদার্সের ৬শ’ ফিট লম্বা সীমানা প্রাচীর, এবং দুটি মাটি কাটা ড্রেজার ভেঙ্গে দেয়া হয়। সোনারগাঁয়ের মেঘনা, হোসেনদি, বলাকির চর এলাকায় নদী ভরাট করে বালু রাখা অংশ ভেকু দিয়ে খনন করে নদী দখল মুক্ত করা হয়। এছাড়া মেঘনা লঞ্চঘাট এলাকায় ৩শ’ ফুট লম্বা এবং ২শ’ ফুট প্রশস্ত মেঘনা নদী বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে বালু, পাথর, টিনের ব্যবসা করে আসছিলো একটি চক্র। বিআইডবিøউটিএ এসব মালামাল জব্দ করে নিলামে তুলে ৫ লক্ষ ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
গুলজার হোসেন আরো জানান, আগামী ছয় দিনে এ উচ্ছেদ কার্যক্রমে আরো যারা নদীর তীর দখল করে রেখেছে পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আমাদের নিয়ে সরেজমিন মেঘনা নদী পরিদর্শন করেছেন। এ সময় মেঘনা, বসুন্ধরা গ্রুপ, ইউনিক গ্রুপ, আল মোস্তফা গ্রুপের পলিমার ইন্ড্রাস্ট্রিজসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে নদী দখলের প্রমাণ পেয়েছে। সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।’