বিচার চাইতে এসে ওসির কাছে লাঞ্চনার শিকার জমির মালিক মফিজুর

701

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জমির ভাগ না পেয়ে পুলিশের সহায়তায় জায়গা দখলে নিয়েছে ইমরান হোসেন গং। থানায় বিচার চাইতে গিয়ে অফিসার ইনচার্জ কাছে লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন ঐ জমির অপর অংশের মালিক মফিজুর রহমান। সিদ্ধিরগঞ্চ থানাধীন খোর্দ্দঘোষ পাড়ায় (সাহেব পাড়া) এ ঘটনা ঘটেছে।
জমির অপর অংশের মালিক মফিজুর রহমান জানান, অত্র জমিটি আমি ও ইমরান গং রতন বাবুর স্ত্রী মুন্নি রায়ের কাছ থেকে ক্রয় করি। পরবর্তীতে পুরো জায়গার ভাগবাটোয়ারা করার সময় সেখানে জায়গার পরিমান কিছুটা কমে যায়। জায়গার পরিমাপের জন্য ইমরান গং আমীন দিয়ে পুরো জায়গাটি মাপার পর আমীন ইমরান গংদের যে পরিমান জায়গা নেওয়ার কথা বলেন তা নিতে অস্বীকার করে ইমরান গং। পরে গত ১০ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার সময় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক দিয়ে তাদের দোকান-ঘর দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। সেসময় আমি ও স্বাক্ষীগণের বাঁধারমুখে তারা সেখান থেকে চলে যায় এবং যাওয়ার সময় এই বলে হুমকী প্রদান করে। পরবর্তীতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় জায়গা দখল সহ আমার জমির সাইনবোর্ড ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বিচার চাইতে গেলে এসআই শামীম সহ উপস্থিত লোকজনের সামনে আমাকে জুতা নিক্ষেপ করেন অফিসার ইনচার্জ মীর শাহিন শাহ পারভেজ।
পরবর্তীতে আমার দখলকৃত জায়গায় সাইনবোর্ডটি পূণরায় লাগানো হয়। বেশ কয়েকদিন পর আবারো সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলে। কোর্ট থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেখানে সকল প্রকার কাজ বন্ধ রাখার। কিন্তু তা অমান্য করে সেখানে সকল প্রকার কাজ চলছে। এ ব্যাপারে এসআই শামীম ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে এসে উল্টো আমাকে হুমকী প্রদান করে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবী করেছেন জমির মালিক মফিজুর রহমান।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানান, মফিজুর রহমান ইমরান গংদের প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। যে জমি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেখানে বিল্ডিং করার কথা ছিলো কিন্তু মফিজুর রহমান তা না করে তাদের টাকা আত্মসাৎ করে। এ ব্যাপারে তারা থানায় আমার কাছে আসলে আমি তাদেরকে সমাধানের কথা বলি। কিন্তু মফিজুর রহমান জুতা নিক্ষেপের যে কথা বলছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। জনগণ থানায় আসে সমস্যা সমাধানের জন্য ভোগান্তীর জন্য নয়।
উল্লেখ্য যে, খোর্দ্দঘোষ পাড়া মৌজা-১৪৭ – সিএস দাগ নং-২৪৭, এসএ দাগ নং-২৪৭ ও আরএস দাগ নং-৩১৯ দখলকৃত জমিতে উপরোক্ত ঘটনাটি ঘটে।