মোঃ রিপন মাহমুদঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার মাননীয় রফিকুল ইসলাম বলেছেন,পঞ্চম পর্যায়ে উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে কি কি বিষয়ের উপর আপনাদের গুরুত্ব দেয়া উচিৎ যাতে করে আমরা পূর্বে যে সমস্ত খারাপ অভিজ্ঞতাগুলো সঞ্চয় করেছি সেগুলো থেকে আমরা উত্তোরণ করতে পারি সেদিকে খেয়াল করতে হবে। বাংলাদেশে যতগুলি ভোটার আছে ঠিক ততগুলি ব্যালট পেপারই প্রস্তুত করা হয়। এর বেশি একটিও অতিরিক্ত ব্যালট পেপার প্রস্তুত হয়না। এ ঝামেলার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই মুলত আমরা ইলেট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট গ্রহনের ব্যবস্থা করেছি। এ ব্যবস্থায় আমাদের ব্যালট পেপার ছাপানোর প্রয়োজন পড়েনা। তার জন্যই মুলত ইভিএম পদ্ধতি। আপনাদের বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ইলেট্রনিক মেশিনে ভোট গ্রহন করা হবে। ইভিএম একটা প্রুভ মেশিন। কোন অবস্থাতেই কিছু করা যায়না।
বুধবার সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন শীর্ষক ভোটগ্রহন কর্মকর্তাগনের প্রশিক্ষণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা পদের জন্য নির্বাচন হবে। আমি জানিনা কতটুকু কন্টেষ্টেটিং হবে। সারা পৃথিবীতে কিন্তু ডেমোক্রেসি অত্যন্ত সংকটময় অবস্থায় বিরাজ করছে। যেখানে ব্রিটেনকে গনতন্ত্রের সুতিকাগার বলা হয়। যেখানে গনতন্ত্রের জন্ম। সেই গনতন্ত্রের জন্মের জায়গাতেই কিন্তু গনতন্ত্রের অবস্থাই নাজুক। কিছুদিন পূর্বেই তেরেসার মেয়েকে পার্টির চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। অতএব ফলস্ ভোট“ইউ সোড বি নো এলাউ ইট”। আপনাদের স্পষ্ট করতে বলতে চাই আপনাদের বিরোদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযোগ পাই আমরা কিন্তু কোন ক্রমেই ছাড় দিব না। আপনাদের সমস্ত আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আমরা ইলেকশন কমিশন আপনাদের সমস্ত প্রকার সহযোগীতা করবে। কিছুদিন আগে নির্বাচনী ডিউটি করে ফেরার পথে প্রাকৃতিক দূর্যোগে আমাদের ভোটগ্রহন কর্মকর্তা ও পুলিশের কর্মকর্তা মৃত্যুবরন করেছেন আমরা কোন রকম কার্পন্য করিনি। তাকে আমরা ৫লক্ষ টাকার জায়গায় ১দিনের মধ্যে ১০লক্ষ টাকা দিয়েছি। আমরা যে কোন বিষয়ে আপনাদের সব ধরনের সহযোগীতা করব কিন্তু রফিকুল ইসলাম বলেন,আপনারা যদি কোন অনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে লিপ্ত হন আমরা কিন্তু সামান্যতম ছাড় দিব না। বন্দর উপজেলায় কি আর কোন লোক ছিলনা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য। একজনই যোগ্য লোক ছিল চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য আমি বিশ^্যাস করি না। হয়তোবা ছিল কিন্তু আমাদের নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নাই। আমরা একা গনতন্ত্রকে ঠিক করতে পারব না। এই গনতন্ত্রকে যদি ঠিক করতে হয় তাহলে ভোটারদের ঠিক করতে হবে,রাজনৈতিক দলকে ঠিক করতে হবে,সুশীল সমাজকে ঠিক করতে হবে। সবাই মিলে যদি আমাকে সহযোগীতা করে তাহলে কথা দিচ্ছি একটি সুন্দর,অবাধ,নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হব।
নারায়নগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও রিটার্নিং অফিসার মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মতিউর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসাশন মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ (খ) সার্কেল,খোরশেদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম,বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী,আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ রকিব উদ্দিন মন্ডল, বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম,বন্দর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আফিফা খান প্রমূখ।