নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে অনুমোদনবিহীন প্রাইভেট হাসপাতালে এমডি ও ২ জন ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার

497

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে অনুমোদনবিহীন প্রাইভেট হাসপাতালে র্যা বের অভিযানে হাসপাতালের এমডি ও ০২ জন ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার হয়েছে।

র্যা ব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যা ব শুরু থেকে যে কোন ধরনের অপরাধ, প্রতারনা মূলক অপরাধ প্রতিরোধ এবং প্রতারক চক্রকে সনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য অনুমোদনবিহীন হাসপাতাল ও ভুয়া ডাক্তারদের বির“দ্ধে র্যা ব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র্যা ব ১১, সিপিএসসি এর বিশেষ অভিযানে ০১ জুলাই ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে রাতে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জামিরখান কমপে­ক্স এর নিচ তলায় “কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ল্যাব’ এ রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার ১। মোঃ সোলায়মান মোল্লা (৩৭), ২। উৎপল কুমার রায় (৩২) এবং হাসপাতালের এমডি ৩। মোঃ আরিফুজ্জামান @ লিটন (৩৭)’কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন, বিভিন্ন প্যাথোলজিক্যাল রিপোর্ট, এক্স-রে রিপোর্ট ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় ১। মোঃ সোলায়মান মোল্লা এর বাড়ি রাজবাড়ী জেলার গোপালপুর এলাকা, ২। উৎপল কুমার রায় এর বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার বনগ্রাম বাজার এলাকা এবং হাসপাতালের এমডি ৩। মোঃ আরিফুজ্জামান @ লিটন এর বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার জাংগাল বারপাড়া এলাকা। মোঃ সোলায়মান মোল্লা ও উৎপল কুমার রায় মূলত ম্যাটস থেকে মেডিকেল এসিসট্যান্ট কোর্স করেছে। তারা ০২ জন দীর্ঘদিন নিজেদেরকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে “কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ল্যাব’ এ নিয়মিত রোগী দেখে আসছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের নথিপত্র দেখে জানা যায় মোঃ সোলায়মান মোল্লা ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ও উৎপল কুমার রায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে রোগী দেখে রোগীদের বিভিন্ন প্রকার প্যাথোলজিক্যাল, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট প্রস্তুত করে থাকে। উক্ত হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনের অনুমতি না থাকার পরও ঝুকিপূর্ণভাবে এক্স-রে মেশিন পরিচালনা করে আসছে। হাসপাতালের এমডি মোঃ আরিফুজ্জামান @ লিটন ও তারা পরষ্পর যোগসাজসে রোগী দেখে, বিভিন্ন প্রকার অপ্রয়োজনীয় টেষ্ট দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে রোগীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে আসছে। তাছাড়া এক বছর পূর্বে এই অনিয়মের কারণে কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করেছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।