বন্দরে স্কুল কমিটির সদস্য আমির হোসেন ভুলুর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

461

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বন্দরের হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোঃ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির তৎসময়ের সদস্য আমির হোসেন ভুলুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতাসহ অশ্লীল আচারনের অভিযোগ উঠেছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়কে কুক্ষিগত করার হীন চেষ্ঠা করতে থাকে। ক্ষমতাসীন দলের লোক বলে নিজেকে জাহিরসহ নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর হিসেবে পরিচিত করতে স্কুলে প্রতিনিয়ত অসুভ আচারন করত। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রতিদিনই শির্ক্ষাথীদের সামনে ধুমপান করত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে ধুমপান করার বিষয়ে বলতে গিয়ে তার অশ্লীল কথা সহ্য করতে হয়েছে। কারন এখানে চাকুরি করি। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন ভাই দীর্ঘদদিন যাবত বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত। সভা চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে আমির হোসেন ভুলুর বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে কথা উঠলে সভাপতি হুমায়ন কবির মৃধা, সদস্য আলমগীর, শিক্ষক প্রতিনিধি আঃ হালিমের সামনে অপর সদস্য মহিউদ্দিন (৬০) কে মারধর করে। গত বছরের ৯ ই এপ্রিল কিল- ঘুষি মারে ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। মহিউদ্দিন বাদী হয়ে বন্দর থানায় জিডি নং-৪০০ দায়ের করেন। বিদ্যালয়ের সুনাম রর্ক্ষাথে পরবর্তিতে আর কোন পদক্ষেপ নেননি বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা জানান। তিনি আরো বলেন, আমির হোসেন ভুলুর আচারন অনেক খারাপ। বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শির্ক্ষাথীদের সাথে অসুভ আচারন করত। যে কারনে সভা করে সর্ব সম্মতিক্রমে রেজিলেশন করে ভুলুর বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড হতে অনুমোধন হয়ে এখনো আসেনি। আর যে বিষয়ে ভুলু আদালতে মামলা করেছে তা কোন শিক্ষিত লোক হলে পারতো না। কারন শিক্ষিত লোকের বিবেক আছে। আমার ও প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে যে কথা মামলার আরজিতে প্রকাশ করেছে, তার বিন্দু পরিমান প্রমান করতে পারলে রাজনীতিসহ বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ ছেড়ে বন্দর ছেড়ে আজীবনের জন্য চলে যাব। গত ১০ বছর আমি সভাপতির দায়িত্বে। যদি কোন শিক্ষক বা ছাত্ররাও বলতে পারে যে স্কুলের টাকায় এক কাপ চা খাই তাহলে ভুলুর আরজি আমি মেনে নিব। আমার জীবনে একটি সিগারেট সেবন করে দেখিনি। আর ভুলু বিদ্যালয়ে যেভাবে আসতো বা আচারন করত তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।