জেলা প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চরাঞ্চলে অভিয়ান চালিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার বালু বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ৩৭ লক্ষ টাকার ইস্কেবেটর(ভেকো) মেশিন ও পাইপ নষ্ট করেছে। সোমবার দুপুরে লস্করদিয়া নারায়নপুর চরাঞ্চলে এই অভিযান পরিচালিত হয়। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইস্কেবেটর(ভেকো) মেশিন ও পাইপ নষ্ট করনের ব্যাপারে কোন মন্তব্য দিতে রাজী হননি।
কালুখালীর লস্করদিয়া নারায়নপুর চরাঞ্চলের বালু ব্যবসায়ী ইউনুছ মোল্যা জানায়,আমরা পাবনার সাতবাড়িয়া ঘাট এলাকার শাহিন আহমেদ নামক বালু মহাল ইজারাদারের নিকট থেকে বালু ক্রয় করি। ক্রয়কৃত বালু কার্গোযোগে কালুখালীর লস্করদিয়া নারায়নপুর চরাঞ্চলের নদীঘাটে আনি। পরে ওই বালু আপলোট করে খামারে উত্তোলন করি। সোমবার দুপুরে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার আমার বালু খামারে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে বালু খামারের সবকিছু ভেঙ্গে তছনছ করে দেন। এসময় তিনি আমাদের কোন কথা বলার সুযোগ দেননি।কোন প্রকার বিচার বিবেচনা না করে তিনি আমার বালু খামারের ইস্কেবেটর(ভেকো) মেশিনে আগুন জ্বালিয়ে দেন। মেশিনটির মূল্য ৩২ লক্ষ টাকার অধিক।
লস্করদিয়া নারায়নপুর চরাঞ্চলের অপর বালু ব্যবসায়ী বাবলু সরদার জানায়, আমিও পাবনার সাতবাড়িয়া ঘাট এলাকার শাহিন আহমেদ নামক বালু মহাল ইজারাদারের নিকট থেকে বালু ক্রয় করি। সোমবার দুপুরে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার আমার বালু খামারে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে খামারের কাজের ২৫ শ ফুট পাইপ ভেঙ্গে দেন।কোন প্রকার মোবাইল কোট ছাড়াই তিনি পাইপগুলো ভেঙ্গে দেন। ভেঙ্গে ফেলা পাইপের মূল্য ৫ লক্ষ টাকার অধিক।
এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার জানান, সোমবার কালুখালীর চরাঞ্চলে এক বালুবাহী ট্রাকড্রাইভারকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্য কারো বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়নি। ইস্কেবেটর(ভেকো) মেশিন ও পাইপ নষ্ট করনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে উনি জানান,এ সংবাদটি প্রকাশ করা বাদ রাখুন।
এদিকে কালুখালীর ভ‚ সীমানার কোথাও অবৈধভাবে নদীর বালু কাটা হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে সহকারী কমিশনার(ভুমি) সাদিয়া ইসলাম লুনা জানান,বিভিন্ন ব্যক্তি মৌখিকভাবে এ ধরনের অভিযোগ করেছে। কিন্তু সরেজমিন খোঁজ নিয়ে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
বালু ব্যবসায়ী শাবানদার মেম্বর জানান,কালুখালীর চরাঞ্চল দীর্ঘ ২ যুগের অধিক সময় ধরে অশান্ত। সম্প্রতী প্রধান মন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়ে অশান্ত জনপদের মানুষ গুলো অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করেছে। সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার কোন প্রকার বিচার বিবেচনা না করে ইস্কেবেটর(ভেকো) মেশিন ও পাইপ নষ্ট করনের মধ্যদিয়ে তাদেরকে পুনরায় অশান্তির পথে ফিরে যাবার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।