বিশেষ প্রতিনিধি রাজবাড়ী ঃ রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে বন্যার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে শতাধিক কৃষকের চীনাবাদামের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির কারনে নদীর পারও ভাংতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নদী পারের ১০ গ্রামের মানুষ ।
শনিবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে কথা হয় কালুখালীর রতনদিয়া ইউনিয়নের লস্করদিয়া নারায়নপুরে মোহন শেখের ছেলে বিল্লাল শেখের সাথে। তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান,মাঝ নদীর চরের জমিতে এ বছর ৪.৫ বিঘা জমিতে চীনা বাদামের চাষ করি। হঠাৎ বন্যার পানি এসে বাদামের জমি তলিয়ে যায়। এ অবস্থায় তাড়াহুরা করে ২ বিঘা জমির বাদাম সংগ্রহ করতে পেরেছি। তিনি আরো জানান,আমার পাশ্ববর্তী হজরত মল্লিকের ৩ বিঘা,জিন্নাহ খাঁর ২ বিঘা,শোসা শেখের ৫ বিঘা বাদাম তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় শাবানদার আলী জানান, মাঝ নদীর চরের জমিতে চাষ করতো এমন শতাধিক কৃষকের ২শ বিঘা জমির বাদাম বন্যার পানি ডুবে গেছে।
এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে ঢেওয়ের সৃষ্টি হয়েছে। প্রদিনিয়তই ঢেউয়ের চাপে পাড় ভাংতে শুরু করেছে। আগাম নদী ভাঙ্গনের প্রকোপ দেখে নদী পারের মানুষেরা আতংকিত হয়ে পরেছে। গত ৫ বছরের ভাঙ্গনে পদ্মাপারের ৭ গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পরেছে। এবার নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় নদী ভাঙ্গনের মুখে উঠে দাঁড়ানো মানুষগুলো আবার আতংকিত হয়ে পরছে।
হরিনবাড়ীয়া গ্রামের আখিল মন্ডল জানান,ভাঙ্গা গড়ার মধ্যদিয়ে এখনো নদী পারেই টিকে আছি। জনপ্রতিনিধিরা প্রতিবছরই আমাদেরকে ভাঙ্গন রোধের প্রতিশ্রæতি দেয়। কিন্তু কাজ হয় না। ইতিমধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রী মহোদয় এ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনিও ভাঙ্গন রোধের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। কিন্তু কবে প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন হবে তা আমরা জানি না। তিনি বলেন ,ভাঙ্গনের এই ধারা রোধ করতে না পারলে একদিন পাল্টে যাবে কালুখালী উপজেলার মানচিত্র।
এলাকাবাসী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।