নিজস্ব সংবাদাতা : অসামাজিক, অনৈতিক ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও সকল সদস্য পদ থেকে সাইফুল ইসলাম খোকন প্রধানকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। ১২ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকায় ফতুল্লা ইউনিয়ন ১, ২, ৩নং ওয়ার্ড কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ কতৃক এক জরুরী সভায় এ সাময়িক বহিস্কার করা হয়। উক্ত সভায় ১, ২, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুল কবীর হাবিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আলহাজ্ব ফরিদ আহম্মেদ লিটন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আফসার উদ্দিন, সহ-সভাপতি জলিল মাতব্বর, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ১, ২, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেনু, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকমীরা।
এরআগে ৬ জুলাই বিকাল ৪টায় ফতুল্লা রির্পোটার্স ইউনিটির কার্যালয়ে জরুরী সভায় সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় খোকন প্রধানকে ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি হতে বহিস্কার করা হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে খোকন প্রধানকে ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ সহ প্রাথমিক সদস্য পদ হতে বহিস্কার করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি খোকন প্রধানের সাথে মাদক ব্যবসায়ী শাহিনের মোবাইলে কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। মোবাইলে কথোপকথনে খোকনের দাবি, তার দরবারের মুরিদ না হয়ে কেউ ফতুল্লা স্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারে না। অডিও ফাঁস হওয়ার খবরে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ১৩ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের অডিওতে বেশ কয়েকবার তিনি মাদক ব্যবসায়ী শাহিনের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছে। এছাড়া ফতুল্লা মডেল থানার ওসির সাথে তার কথা হয় এবং ওসি তার কথা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বলেও উল্লেখ করেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমার দরবারের মুরিদ না হলে কেউ ফতুল্লা স্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারেন না। সবাই আমার মাজারের মুরিদ হয়ে ব্যবসা করে আসছে।