শিক্ষার্থীদের নতুন পোষাক নিয়ে সোনারগাঁয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন

760

মোঃ শামছুল আলম তুহিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আরো এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু নাইম ইকবাল দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁয়ের একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবেও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৭ জুলাই ২০১৯ ইং। শিক্ষানুরাগী আবু নাঈম ইকবাল যাতে নতুন করে পূণরায় আগামী কমিটিতে স্থান না পান সেজন্য একটি কুচক্রী মহল শেষ মুহূর্তে আবু নাঈম ইকবালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

জানা গেছে, গত ৭ জুলাই ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রেস পরিবর্তনের বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিকল্প পদ্ধতি হাতে নিয়েছেন। আর তা হলো ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি শুধু সোনারগাঁয়েই নয় সারা বাংলাদেশ তথা বিশ্বের মধ্যে একটি ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করা। আর সেজন্যই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশের পতাকার রংয়ের আদলে লাল-সবুজের ড্রেস তৈরী করে দেয়া। যা সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ ও শিক্ষায় নতুনত্ব বয়ে আনবে। এরই ধারাবাহিকতায় ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বর্তমান সভাপতি আবু নাইম ইকবাল আগামী নতুন কমিটিতে যেন নতুন করে সভাপতি না হতে পারে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ড্রেস পরিবর্তনে কোন পদক্ষেপ না নিতে পারেন সেজন্য একটি কুচক্রীমহল বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান ও এর সুনাম নষ্ট করার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সবসময়ই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে থাকে। এই বিদ্যালয়ে মোট ৪৯ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ-৫ এবং ৪০ জন এ-গ্রেড পেয়ে শতভাগ পাশ করেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু নাইম ইকবাল জানান, আমি এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। আমার এই বিদ্যালয়টি সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। আর এই সাফল্যের পেছনে যাদের অবদান রয়েছে, বিশেষ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বি আর বিলকিস, সকল শিক্ষকমন্ডলী, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার কানিজ ফাতেমা, বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকসহ তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম স্থান অধিকারী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝেও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আমার পক্ষ থেকে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেনীর (১ম-৩য় স্থান দখলকারী) কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে একটি করে স্কুল ব্যাগ উপহার দেয়া হয়েছে। ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এমন হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এমনকি শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিজিটাল পাঞ্চ কার্ডও বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু নাইম ইকবালের নিজস্ব অর্থায়ণে এই ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি চালু হয়েছে। এভাবে উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের সভাপতিগণ সচেষ্ট হলে প্রতিটি বিদ্যালয়েই ডিজিটাল হাজিরা চালু হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।

শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল যিনি উপজেলার শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা রেখেছেন, তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলায় শিক্ষার মান-উন্নয়নে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্যও তিনি। এই বিদ্যালয়টি বেশ কয়েকবার ফলাফলে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। যার মুল ভ‚মিকায় ছিলেন আবু নাঈম ইকবাল নিজেই। তিনি সোনারগাঁ মহিলা কলেজের দাতা সদস্যও। আরও অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও তিনি জড়িত। কাজ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নানা সমস্যাগুলো তিনি নিজে সমাধানে কাজ করেছেন। শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো তিনি স্থানীয় এমপি ও ইউএনও এর কাছে তুলে ধরেন এবং সমাধানেও নিজেকে জড়িয়ে ভ‚মিকা রাখেন সরাসরি।

কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু নাইম ইকবাল দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁয়ের একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবেও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিনি উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ সভাপতি হিসেবে পুরস্কৃতও হয়েছেন।

এই সফল শিক্ষাবিদ আবু নাইম ইকবালের একসময় রাজনীতিতে পদার্পণ ঘটলেও বর্তমানে সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে একজন শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। রাজনীতিতে পদার্পন ঘটলেও পরবর্তীতে তিনি জড়িয়ে পড়েন সমাজ সেবায়। ভ‚মিকা রাখতে শুরু করেন উপজেলার শিক্ষা ও ক্রীড়া উন্নয়নে। যার ফলে এখন তিনি রাজনীতিবিদের চেয়ে একজন শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল অত্যন্ত সৎ, মেধাবী ও পরিশ্রমী নেতা হওয়ায় সোনারগাঁবাসীর অনেকেরই ভালোবাসা অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি বয়সে তরুন হওয়ায় তরুন প্রজন্ম ও সাধারন জনগনের অনেকটা কাছে যেতে পেরেছেন। সোনারগাঁয়ের মাটিতে তিনি কাজ করছেন শিক্ষিত-মেধাবী একঝাঁক তরুন সমাজ ও সাধারন জনগনকে নিয়ে। যার কারনে ইতিমধ্যে তিনি তরুন প্রজন্ম ও সাধারন জনগনের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। সমাজ সেবা থেকে শুরু করে সকল সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে, শিক্ষা কাজে মনোনিবেশ হয়ে বর্তমানে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।

সম্প্রতি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবীতে ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ড্রেস জাতীয় পতাকার রংয়ের আদলে তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুরনো ধাঁচের সেই নীল ও সাদা রংয়ের ইউনিফর্ম এর পরিবর্তে লাল ও সবুজ রংয়ের সমš^য়ে আকর্ষনীয় স্কুল ড্রেস করা হচ্ছে। নতুন রংয়ের ড্রেস নির্ধারনে সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার জন্য ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন কুমার সরকার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য নীল ও সাদা রঙের ইউনিফর্ম থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা নীল ও সাদা রংয়ের ইউনিফর্মের বিরোধীতা করে আসছিল। তাদের দাবি, নীল ও সাদা রংয়ের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করে অন্য কোনো রংয়ে করার জন্য। যেহেতু শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে স্কুল ড্রেস একটি ভূমিকা রাখে, তাই শিক্ষক, শিক্ষিকা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে একটি আলোচনায় বসে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি।

আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নীল ও সাদা রং পরিবর্তন করে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করে লাল-সবুজের সমš^য়ে ইউনিফর্ম করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে যৌথ উদ্যোগে ড্রেস পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল কাজ করছে বলে শোনা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু নাঈম ইকবাল জানান, স্কুল ড্রেস পরিবর্তন আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। এটি সকল ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের দাবীর প্রেক্ষিতে এবং সকলের অংশগ্রহণে আলোচনার সিদ্ধান্তানুযায়ী। একটি কুচক্রী মহল শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক নতুন ইউনিফর্ম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি মনে করি বিদ্যালয়ের সাফল্যে ঈর্ষাšি^ত হয়ে ও তার সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে এই চক্রটি কাজ করছে। সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আমি আমার নিজ অর্থে ১ শত ১ জন গরিব ও এতিম ছাত্র-ছাত্রীকে নতুন ড্রেস প্রদান করেছি এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বলেছি যদি কোনো শিক্ষার্থী টাকার জন্য ড্রেস বানাতে না পারে তাহলে আমাকে জানাতে। আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে তাদেরও নিজ অর্থে ড্রেস করে দিবো।

আবু নাঈম ইকবাল আরও জানান, ইউনিফর্ম শিক্ষার্থীদের অপরাধ করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। স্কুল ইউনিফর্ম শিক্ষার্থীদের পোশাকের দিকে মনোযোগী না হয়ে লেখাপড়ার দিকে মনোযোগী হতে সহায়তা করে। স্কুল ইউনিফর্ম একটি সমমর্যাদার স্থান তৈরি করে, যার ফলে কোনো শিক্ষার্থীকে হেয় হতে হয় না। ইউনিফর্ম একতা ও ঐক্যের শিক্ষা দেয়। উপস্থিতি ও শৃক্সখলা বাড়ে। শিক্ষার্থীরা তাদের পোশাকি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকে। স্কুল ইউনিফর্ম সহানুবর্তিতা বাড়ায়।

এদিকে অপপ্রচারকারীদের উদ্দেশ্যে আবু নাঈম ইকবাল বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত না করে শিশুদের ড্রেসের দিকে নজর না দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা সকল শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নের দিকে নজর দিতে।

এ ব্যাপারে ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু নাঈম ইকবালের আন্তরিক প্রচেষ্টার পুরস্কার হিসেবে বিদ্যালয়টি টানা ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সোনারগাঁ উপজেলায় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক এবং ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পদক পেয়েছে। শুধু তাই নয়, আবু নাঈম ইকবাল নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির শ্রেষ্ঠ সভাপতি ও শিক্ষানুরাগী হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৭ জুলাই ২০১৯। তাই শিক্ষানুরাগী আবু নাঈম ইকবাল যাতে করে নতুন কমিটিতে স্থান না পান সেজন্য একটি কুচক্রী মহল শেষ মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। আমরা সেসব অপপ্রচারকারীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই।

এছাড়াও ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বি.আর বিলকিসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক পরিমান টাকা নিয়ে নতুন ড্রেস বানিজ্যের যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও অনভিপ্রেত যা বিশিষ্ট জনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জানা গেছে, একটি কুচক্রীমহল অভিভাবকদের ভূল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন কুমার সরকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন যা শুনে সচেতন অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাছাড়া সভাপতি পদের ¶মতা দখলই এই কুচক্রী মহলের একমাত্র উদ্দেশ্য।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বি.আর বিলকিস জানান, আমি তো কোন ড্রেস বিক্রি কিরিনি। এখন পর্যন্ত কোন ড্রেস আমার কাছে আসেনি। আগেরগুলো অভিভাবকগণ স্বেচ্ছায় নিজেরা তৈরি করেছিল ও তারা টেইলারকে টাকা পরিশোধ করেছেন। বিদ্যালয়ের পোশাক পরিবর্তনে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধাস্ত অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বর ও ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অভিভাবকদেরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু নাইম ইকবাল শিক্ষার্থীদের মায়েদের সাথে আলোচনা করেছেন। এভাবেই সকলের মতামতের ভিত্তিতে পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মিথ্যা, অসত্য, বানোয়াট তথ্য দিয়ে একজন প্রধান শিক্ষককে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, যা একটি সেরা বিদ্যাপিঠের সুনাম নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।
ক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাই ঘরে বসে নয় আসুন, রাজপথে নেমে এই আন্দোলন কে বেগবান করে তুলি। কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ কারীরা ধর্ষণ মামলা গুলো দ্রুত বিচারে দাবি জানান। মানববন্ধনে অংশ নেন বিশিষ্ট্য শিক্ষক সুনীল দাস, সাংবাদিক হারুনার রশিদ সহ নওয়াপাড়া রেনেসা, ব্লাড ব্যাংক, সংস্কৃতিক সংগঠন কর্মী, এনজিও কর্মী সহ এলাকার সাধারণ মানুষ।