নিজস্ব রিপোর্টার: গত ১৫/০৭/২০১৯ ইং রোজ সোমবার বিকেল ৩টায় মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির গভঃ রেজি: নং ঢাকা, ১৬৯৮ এর এক বিশেষ সাধারণ সভা মিতালী মার্কেট সংলগ্ন সাইনবোর্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করার জন্য সমিতির কার্যকারী সভাপতি আলহাজ্ব আমীর হোসেনের নাম প্রস্তাব করা হলে উপস্থিত সমিতির অধিকাংশ সদস্য করতালীর মাধ্যমে সমর্থণ করেন। ফলে মিতালী মার্কেটের দোকানদার সমিতির কার্যকারী কমিটির বিরুদ্ধে বিশেষ সাধারণ সভায় অনাস্থাকৃত কমিটির কার্যকারী সভাপতি আলহাজ্ব আমীর হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সভায় মিতালী মাকের্টের দোকানদার সমিতির কার্যকারী কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে সদস্যদের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকায় গত ২৪/০৬/২০১৯ইং অনির্বাচিত কার্যকারী কমিটির বিরুদ্ধে লিখিত অনাস্থা প্রদান করে। এবং ওই লিখিত স্বাক্ষরে সমিতির ৩৫১৭ জন সদস্য স্বাক্ষর করিয়া অনাস্থা প্রদান করিলে সমিতির কার্যকারী সভাপতি আলহাজ্ব আমীর হোসেন এবং সহ-সভাপতি মোঃ নাজিমউদ্দীন গত ২৫/০৬/২০১৯ইং পৃথক পৃথক ভাবে অনাস্থার পত্র গ্রহন করেন। অপরদিকে মিতালী মার্কেটের স্বঘোষিত কমিটির লোকজন অনাস্থা দেয়া কমিটির সদস্যদের হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এটা তারা বলাবলি করছে অনাস্থাকারীদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই পিটিয়ে হাড়গড় ভেঙ্গে দিবে। এমনকি জানেও মেরে ফেলবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এছাড়া দোকান-পাট লুটতরাজ ও দোকানে তালা ও তাদের দোকান মালিকদের ভাড়ার টাকা সমিতির অফিসে জোরপূর্বক নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় অনাস্থার বিষয়ে একটি কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে সমিতির সদস্য জামান মিয়া গত ০৬/০৭/২০১৯ইং তারিখে গঠনতন্ত্রের ৩০নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক একটি সাধারণ সভার নোটিশ প্রদান করেন। যা স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সহ জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়। পত্রিকাগুলো হলোঃ দৈনিক ইনকিলাব, শীতলক্ষ্যা, রুদ্রবার্তা, যুগেরচিন্তা সবার সদস্যগণ তাদের মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন। তারা বলেন, মার্কেটের স্বঘোষিত সভাপতি দাবী করে সে দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর যাবৎ ওয়াকফাকৃত ২২ শতাংস জায়গায় সমিতির লোকজনসহ সাধারণ মানুষ ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও জুম্মার নামাজ আদায় করে। উক্ত জায়গা নিয়ে মামলা থাকা সত্তে¡ও তারা বিক্রির পায়তারা করছে। এখানে তারা নাঃ গঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ,কে,এম শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গীয়ে এসব অপ কর্মে লিপ্ত রয়েছে। সভায় বক্তব্য রাখেন, হাজী আবুল কালাম আজাদ, মুরাদ শফিউল্লাহ্, আব্দুল মান্নান সরদার, হাজী আবুল হোসেন, হাজী লোকমান খান, মাসুদুল হক, হাজী রুহুল আমীন তফাদার, হাজী শাহাদাৎ চৌধুরী, আবুল হাসান, হারুনুর রশিদ, মিজানুর রহমান, আবু রায়হান সহ আরও অনেকে। সাধারণ সদস্যদের উদ্দেশ্যে কমিটির সাবেক কর্মকর্তারা বলেন, সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক অনাস্থাকৃত কমিটির নেতা সাধারণ সদস্যদের ভাড়ার টাকা জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিয়ে গেছে। এবং তাদের কাগজপত্র আটকে রেখে হয়রানি করছে কথিত সভাপতি হাজী ইয়াছিন মিয়া। এই কথিত সভাপতির নেতৃত্বে ২০১৬ সালে মিতালী মার্কেটে ৮ নং ও ১৩ নং ভবনের ৩৬০ টি দোকান জোরপূর্বক দখল সহ ১৮ মাসের ভাড়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তবে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে দোকানগুলো দখল মুক্ত হয়। এ ব্যাপারে তারা আরও বলেন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে সমিতির বিশেষ সাধারণ সভার আহŸায়ক জামান মিয়াকে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলায় আটক করেছে।
সিদ্ধান্ত সমূহ ১৫.০৭.২০১৯ইং
১। মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতি কার্যকারী কমিটির বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হইল।
২। যেহেতু কার্যকরী কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা গৃহীত ও অনুমোদিত হইয়াছে সেহেতু সমিতির গঠনতন্ত্রের ৩০নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হইল। আহবায়ক কমিটির কর্মকর্তাগণ হইতেছেনঃ
১. আহবায়ক, মোঃ মিজানুর রহমান, সদস্য নং: ২৯৪০
২. সদস্য সচিব, আবু রায়হান, সদস্য নং: ২৭১৯
৩. অর্থ সচিব, মোঃ মাকসুদ আলম, সদস্য নং: ১৬০০
৪. সদস্য ইসমাইল হোসেন, সদস্য নং: ২৯৪০
৫. সদস্য উজ্জ্বল, সদস্য নং: ৫০০১
৩। যেহেতু অস্থায়ীভাবে মার্কেট পরিচালনা করার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি আহŸায়ক কমিটি গঠন করা হইয়াছে সেহেতু সমিতির কার্যক্রম সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পরিচালনার স্বার্থে একটি নির্বাচিত কার্যকরী গঠন করা আবশ্যক। সেহেতু অদ্যকার সভায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্মমর্তাগণ হইতেছেনঃ
১. নির্বাচন কমিশনার, সাইফুল আলম। সদস্য নং: ৪৬২০
২. সদস্য সচিব; আবুল হাসান। সদস্য নং: ৬১৯৩
৩. সদস্য, সিরাজুল ইসলাম, সদস্য নং: ১১৬৩
তাহারা গঠনতন্ত্র মোতাবেক সত্বর নির্বাচনের উদ্যেগ গ্রহন করিবেন।
৪। অনাস্থাকৃত কমিটি সহ বিগত কার্যকরী কমিটির কর্মকর্তাগণ কর্তৃক যে সমস্ত টাকা পয়সা আত্মসাৎ বা তহবিল তছরুপ করা হইয়াছে সে সম্পর্কে একটি অডিট কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অডিট কমিটি ০৩ মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দাখিল করিলে ইহার পর কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে যাহারা সমিতির টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন বলিয়া প্রাতয়মান হইবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইল। অডিট কমিটির কর্মকর্তাগণ হইতেছেনঃ
১. হেড অব অডিট কমিটি, জনাব মোঃ আব্দুল আলীম
২. সদস্য সচিব, মোঃ আবুল হোসেন। সদস্য নং: ৩০৩৫
৩. সদস্য, এম.এ. আজিজ।
৫। যারা সমিতির টাকা এবং দোকান মালিকদের টাকা লুটপাট করিয়াছেন তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানা ও কোর্টের মাধ্যমে মামলা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইল।
৬। মার্কেটের উন্নয়নে সহযোগীতায় এবং মার্কেটের শান্তি শৃক্সখলা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সকলের সহযোগীতা কামনা করা হয়। অতপর, সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আমীর হোসেন উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে মিতালী মার্কেটের বিশেষ সাধারণ সভা বিশৃক্সখলা করার জন্য কিছু দুষ্কৃতিকারীরা বিশেষ সাধারন সভার আহŸায়ক জামান মিয়াকে গ্রেফতার করার পর কমিটির কার্যকারি সভাপতি আলহাজ্ব আমীর হোসেন সহ অনেক কর্মকর্তা ও দোকান মালিক প্রশাসন ও সাংবাদিক এর সহযোগীতায় সুন্দর ভাবে বিশেষ সাধারণ সভা সফল করেন। এই সাধারন সভা সুন্দরভাবে শেষ করতে পেরে প্রশাসন ও সাংবাদিক এবং উপস্থিত দোকান মালিকদেরকে শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।