বালিয়াকান্দিতে পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে কৃষক

538

আবুল কালাম আজাদ রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে পানির অভাবে পাটের জাগ দিতে জমি থেকে ঘোড়ার গাড়ী ও ভ্যানে করে পাট ক্ষেত থেকে কেটে দুরের জলাশয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে । এতে কৃষকের মোটা অংকের টাকা গচ্ছা যাচ্ছে বাহন খরচ হিসেবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে। আবাদ করা হয়েছে ৪৭ হাজার ১শত ২০ হেক্টর জমিতে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫ লাখ ৩০ হাজার বেল । চৈত্র-বৈশাখে পাট বীজ বপন করা হয়। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে কাটা হয় ।
বালিয়াকান্দির কৃষক হাজি আব্দুল মজিদ মোল্যা, এসকেন্দার আলী, শাহিদুল ইসলাম নবা বলেন, পদ্মা নদীর পাড় ঘেষে শহর রক্ষা বেড়িবাধ দেওয়া হয়েছে। পদ¥ার উৎপন্ন খালের জলকপাট ও বর্ষার কারনে বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারনে বেঁড়িবাঁধের ভেতরে বাঁধের দক্ষিন দিকে পদ্মার পানি প্রবেশ করতে পারছে না এবং বৃষ্টিও কম হচ্ছে। স্থানীয় জলাশয়গুলোতে পানি বেশি জমেনি।
বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে পাট কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। কাটা পাট থেকে পাতা ঝরার জন্য ক্ষেতেই সারি বন্ধ ভাবে রাখা হয়েছে। রাস্তার পাশের জলাশয়, পুকুর গুলোতে পাট পচানোর কাজ করা হচ্ছে।
বালিয়াচর গ্রামের আয়নাল হোসেন বলেন, তিনি তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন তার জমির আশ পাশে কোন খাল বা জলাশয় না থাকায় ঘোড়ার গাড়ী করে কোন খাদে নিয়ে জাগ দিতে হচ্ছে। চর দক্ষিনবাড়ী গ্রামের মোতালেব হোসেন বলেন, পাট ক্ষেতে বিছাপোকার আক্রমণ হয়েছিলো। এবার ফলন ভালো হয় নাই। পাটের উচ্চতাও ভালো হয়নি। বর্তমানে পাট কাটার জন পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিজনকে ৭শত টাকা করে প্রদান করতে হচ্ছে। এ বছর পাটের যে ফলন হবে তাতে খরচ উঠা দুষ্কর হয়ে যাবে। পাটেও কৃষকের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ উপজেলার কিছু কিছু এলাকাতে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকের সমস্যা রয়েছে। তবে বেশির ভাগ এলাকায় পানি রয়েছে। আশা করছি এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হবে।