সময়ের চিন্তা ডট কমঃ র্যাব-১১ এর অভিযানে রূপগঞ্জের তারাব এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী হতে ০৮ চাঁদাবাজ গ্রেফতার ও চাঁদাবাজির নগদ টাকাসহ চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত ২টি নৌকা জব্দ। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। আসন্ন ঈদ-উল আযহাকে কেন্দ্র করে গুর“ত্বপূর্ন মহাসড়কে ও নৌপথে চাঁদাবাজদের দৌরাতœ্য দমনে র্যা ব অভিযান জোরদার করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৪ আগষ্ট ২০১৮ তারিখ বিকালে র্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন তারাব এলাকায় সুলতানা কামাল ব্রীজের নীচে শীতলক্ষ্যা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে নৌপথে চাঁদাবাজিকালে ০৮ জনকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন ১। মোঃ মেহেদী হাসান(২৫) ২। মোঃ আলমগীর হোসেন(৩১), ৩। মোঃ আনোয়ার হোসেন(২৪), ৪। মোঃ মোমিন(৪০), ৫। মোঃ আকতার হোসেন(২০), ৬। মোঃ কাওসার হোসেন(২৯), ৭। মোঃ রানা মিয়া(২৩) ও ৮। মোঃ জহির“ল ইসলাম(১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা, চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত ০২টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও নৌ-শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে উক্ত চাঁদাবাজ চক্র শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত প্রত্যেক নৌযান হতে শুল্ক আদায়ের নামে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০০/- টাকা থেকে ৩৫০০/- টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে আসছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ডেমরা এলাকার কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন বিআইউবিউটিএ থেকে তারাবো ব্রীজ হতে কাঞ্চন ব্রীজ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় তীরে মালামাল লোড-আনলোডের শুল্ক আদায়ের ইজারা নিয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী বিআইডবিউটিএ কর্তৃক নির্মিত ঘাট বা প্লাটুন ব্যবহার করে কোন মালামাল লোড-আনলোডের জন্য ইজারাদার নির্ধারিত হারে শুল্ক আদায় করার কথা এবং নদীতে চলাচলরত নৌযান থেকে শুল্ক বা চাঁদা আদায় সম্পূর্ন বেআইনী। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র ইজারার নামে নদীতে চলাচলরত প্রত্যেক নৌযান থেকে দীর্ঘদিন ধরে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত অধিকাংশ নৌযানের গন্তব্য থাকে নরসিংদী, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা। ঐ নৌযান গুলো ইজাদারের আওতাধীন এলাকা অর্থাৎ তারাবো ব্রীজ থেকে কাঞ্চন ব্রীজ এলাকার মাঝামাঝি কোথাও থামে না। তারপরও উক্ত চাঁদাবাজ চক্র তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে নদীতে চলাচলরত অবস্থায় চাঁদা আদায় করে। এমনকি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নৌযান শ্রমিকদের মারধর করে থাকে উক্ত চাঁদাবাজ চক্র। নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।