বন্দর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পিটিশন মামলার স্বাক্ষী হওয়া এবং সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের জের ধরে কেরামত আলী(৫৫)নামে এক কৃষকের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুরসহ রাস্তায় এনে তাকে হত্যার চেষ্টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে উচ্ছশৃক্সখল মাজহারুল সাউদ ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। কেরামত আলীকে বাঁচাতে তার স্ত্রী-সন্তান ও ভাই এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদেরকেও মারধরসহ লাঞ্চিত করে। অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার সকাল ১১টায় থানার উত্তর লক্ষনখোলা এলাকায়। আহত কেরামত আলীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত কেরামত আলী বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ঘটনার সত্যতা পেলেও আসামীরা গা ঢাকা দেয়। আহতের পারিবারিক সূত্র জানায়,উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার মৃত মিয়াজান বেপারীর ছেলে কেরামত আলী দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় কৃষিকাজ ও মৎস্য চাষাবাদ করে আসছিল। এর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বও পালণ করে আসছেন। সম্প্রতি জনৈক ব্যাক্তির একটি পিটিশন মামলার স্বাক্ষী হন এবং বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় মসজিদ ও সামাজিক ঘটনায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন এসব ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবার সকাল ১১টায় মাজহারুল সাউদ তার ছেলে শাকিল, তানভীর, ভাই নাজমুল, সাত্তার মুন্সির ছেলে ফরিদ, নূর ইসলাম, বোরহান, সাদেকুর সাউদের ছেলে রাকিব সাউদ, মেসোয়ার সাউদের ছেলে রাসেল সাউদ, শাহ আলমের ছেলে রাসেলসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জন সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরীহ কেরামত আলীর বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা ভাংচুর তান্ডব চালায়। পরে সন্ত্রাসীরা কেরামত আলীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে রাস্তায় ফেলে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। কেরামত আলীকে উদ্ধারে তার ভাই আবুল কাশেম ও ছেলে মাহাবুবুর রহমান অচিন ও স্ত্রী এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারপিটসহ স্ত্রীকে লাঞ্চিত করে। আহতদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। পরে উপস্থিত লোকজন আহতদের মধ্যে কেরামত আলীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। ক্ষয়কক্ষতির পরিমাণ প্রায় লক্ষাধিক টাকা বলে বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তারা আরো জানান, হামলাকারীরা খুবই ভয়ংকর প্রকৃতির। আইনের আশ্রয় নেয়ায় তারা বাদীকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে। এদিকে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করায় সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে ভুক্তভোগী কেরামত আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।