তখনকার পুলিশ, ওসি তাকে স্যালুট করি

563

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ এর সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন,তখনকার পুলিশ, ওসি তাকে স্যালুট করি। এসপি। এরা হলো অরিজিনাল। এখন তো সবাই আওয়ামী লীগ। এখন তো আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউরে দেখি না।
৭ই সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় শহরের চাষাড়া নবাব সলিমউল্লাহ সড়কে অনুষ্ঠিত জনসভায় স্বাগত বক্তব্যে শামীম ওসমান এ কথা বলেন। দুপুর ৩টা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে সাংসদ শামীম ওসমানের জনসভা।দুপুর থেকেই শামীম ওসমান অনুসারী নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগদান করতে শুরু করে জনসভায়।
অতীত ও বর্তমানের পুলিশ বিভাগের ফারাক প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ১/১১ এর সময় আমাকে এক ডিবির ওসির মাধ্যমে মাসদাইর থেকে আমাকে গাড়ি তোলা হল। রাইফেল ক্লাবের সামনে এসে নামানো হল। তখন সেনাবাহিনীর নবম ডিভিশন থেকে পুলিশ, র্যা ব, বিজিবিসহ প্রায় ৫ হাজার ছিলো। রাইফেল ক্লাবে ঐ ওসিকে নামিয়ে চাষাঢ়ায় নিজের মহল্লায় ঢুকে গিয়েছিলাম। মাইকিং করে ১ লাখ লোক এলাকায় ঘিরে রেখেছিলো । ১৭ দিন কেউ ঢুকতে পারে নাই। আমরা কিন্তু ওই পদের খেলোয়ার। ঐ সময় আমি বাইরে চলে গেলাম।
শামীম ওসমান আরও বলেন, অনেকে বলে আপনি কি পুলিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন। কার বিরুদ্ধে। এরা তো আমার ভাই হয়। সরকারের প্রশাসন সরকারের অংশ। প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে সরকারেরর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজ শামীম ওসমানের না। শামীম ওসমান এমন কোন কাজ করবেনা যা করলে দল ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। আর কোথায়, কিভাবে কথা বলতে হয় সেটি আমি জানি। সাংবাদিকদের নেতা মন্ত্রী পদমর্যাদার ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে যখন কথা বলেছি তখন কিন্তু ছাড় দেই নাই। কাপড় যেমনে কাঁচে তেমনে কাঁইচা দিছি। নেত্রী শিখিয়েছেন সাদাকে সাদা বল কালোকে কাল। যারা বুঝার বুঝে নিবেন। আল্লাহ দোষ গোপনকারীকে পছন্দ করেন। অনেকের দোষ জানি। কিন্তু তা বলব না। ধৈর্য্য ধারণকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন। তাই ধৈর্য্য ধারণ করি। আল্লাহ আবার বলেছেন একগালে থাপ্পড় দিলে আরেকগালে থাপ্পড় দেয়ার অনুমতিও আল্লাহ দিছেন। ক্ষমাকারিকে আল্লাহ পছন্দ করেন তাই সবাইকে ক্ষমা করি।

সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন,নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সহ-সভাপতি চন্দন শীল, এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, যুগ্ন সম্পাদক শাহ নিজাম,সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল,
মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শামসুল ইসলাম ভূইয়া, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু ও সাফায়েত আলম সানি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মোহসিন মিয়া, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান স্মৃতি,মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, নাসিক ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হাসান সজল, নাসিক ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, সোনারগায়ের আওয়ামীলীগ নেতা ও পিরিজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুম প্রমুখসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ।