সময়ের চিন্তা ডট কমঃ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের কৃতিসন্তান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সদস্য জনাব শহিদুল্লাহ সাহেবের সাথে একান্ত আলাপচারীতায় বলেন আমার রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘ ৪১ বছর ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৭৮ সালে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রথম দায়িত্ব গ্রহণ করি।
৪১ বছর ধরে জেলা কার্যনির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছি।আজকের ন্যায় নয়, বার বার কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছি। হামলা মামলার স্বীকার হয়েছি, অবৈধ অস্ত্র,বিষ্ফোরক,ডাকাতি, হত্যা মামলা খেয়েছি। বিএনপির সন্ত্রাসীরা নিজ বাড়িতে আক্রমন করলে যুবলীগ নেতা মুকুল শহীদ হয়।বছরের পর বছর সন্তানদের নিয়ে যাযাবরের ন্যায় পলাতক জীবন যাবন করতে হয়েছে।
অনেক নেতাদের জন্য অনেক কিছু করতে গিয়ে শরীর হতে বহুবার রক্ত ঝড়াতে হয়েছে।কারো কারো নেতুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমার সন্তানদের শরীর হতে ও রক্ত ঝড়া আমি পিতা হয়ে দেখতে হয়েছে।কোন দিন সন্ত্রাসী করিনি, সন্ত্রাসী পছন্দ ও করি না।
ব্ঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছেড়ে অন্য কারো সৈনিক হইনি যদিও তাদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠার জন্য বার বার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত হতে সুষ্টিকর্তা বাঁচিয়েছেন। থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ১৯৮১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তৎকালীন আওয়ামীলীগ প্রধান জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এসে বক্তাবলী বাজারস্থ আমার নেত্রীত্বে প্রথম জনসভা করেছি।
১৯৯২ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় সংসদ নেত্রী থাকা অবস্থায় আমার নেত্রীত্বে কানাই নগর ছোহানিয়া উচ্চ বিদ্যায় মাঠে জনসভা করেছি। ১৯৯৮ সালের ১৪ ই আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমার নেত্রীত্বে বক্তাবলী বাজারস্থ লঞ্চঘাট সংলগ্ন জনসভা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯১ সালের ৩০শে নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার মেয়র মোহাম্মদ হানিফকে নিয়ে এসে লক্ষীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভা করেছি।
শুধু এখানেই শেষ নয় তৎকালীন আওয়ামীলীগের সিনির ভাইস প্রেসিডেন্ট জহুরা তাজউদ্দীন, আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সাজেদা চৌদধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান,আওয়ামীলীগের সিনির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল সামাজ আজাদ,আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক,আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিম,সদস্য বঙ্গবীর কাদের সিদ্দকী, ডাকসুর ভিপি মান্না আক্তার সহ ডাকসুর জি এস আক্তারুজ্জানকে আমি থানা সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে এসে জনসভা করেছি।
১৯৭৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পযন্ত সাধারণ সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ঘাতক দালাল নিরমুল কমিটির ফতুল্লা থানার আহবায়ক হয়ে নারায়ণগঞ্জের ভিতর সর্বপ্রথম ফতুল্লায় জনসভা করেছি।
থানা সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় এবং দলের করুণ পরিস্থিতে শক্ত হাতে হাল ধরে দল কে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছি।এই দল কে সামনে এগিয়ে নিতে গিতে যে পরিমাণ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।বিগত বি এন পি আমলে হামলা মামলার স্বীকার হয়েছি তবু দলের হাল ছাড়িনি সামনে থেকে নেত্রীত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছি ।
এক প্রশ্নের জবাবে শহিদুল্লাহ প্রভাত বার্তা কে বলেন দীর্ঘ দিন পর আওয়ামীলীগের থানা কমিটি হচ্ছে যদি গণতান্ত্রিকভাবে কমিটির নেতা নির্বাচিত করার সুযোগ থাকে আর ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ নেত্রী বৃন্দ আমাকে চায় তাহলে আমি সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। সব সময় তৃণমূল নেত্রীবৃন্দ কে মুল্যায়ণ করে আমি রাজনীতি করেছি এখনো সেভাবেই সবাইকে এক সাথে নিয়ে পথচলতে চাই।
বর্তামান পরিস্থিতিতে নতুন ভাবে থানা আওয়ামীলীগ কে আমি সাঝাতে চাই। দীর্ঘ দিনের রাজনীতি আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এখনো আমার বুকে লালিত রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই থানাকে নতুনভাবে রূপ দেবার জন্য নির্বাচন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
স্বচ্ছ রাজনীতিই আমার কাম্য।বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার চলার পাথেয়,সৎ জীবন নিয়ে-ই আমি পরকালে যেতে চাই।