সুন্দর ও ভাল নগরী গড়তে পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই-গণপূর্তমন্ত্রী

348

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ভাল নগরী গড়তে পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই। উন্নয়ন অবকাঠামোর বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশ বিশে^র কাছে আজ রোল মডেল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) উদ্যোগে কেডিএ মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ^ বসতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল মুকিম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বক্তব্য রাখেন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোস্তফা সারোয়ার
গৃহায়নমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘কিছু ঘটনার কারণে আমরা হোঁচট খাচ্ছি। বৃহৎ প্রকল্পে দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পায়নি। বাংলাদেশের উন্নয়ন উঁইপোকায় খেতে পারবে না। শেখ হাসিনার আমলে অপরাধ করে কেউ ছাড় পায় না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, খুলনার উন্নয়নে কেডিএ, কেসিসিসহ অন্যান্য দপ্তরের আরও সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে খুলনার উন্নয়ন সময়ের সাথে এগোয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেডিএ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে সেবাদান সম্ভব নয়। জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়েই জলাবদ্ধতা, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা ও কেডিএ আবাসনের সুদের ন্যায় সমস্যার সম্মানজনক সমাধান করা হবে। মানুষের সকল ক্ষোভের বিষয় দূর হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবিরাম ও অক্লান্ত কাজ করে চলেছেন। কর্তব্য ও দায়িত্ব নিয়ে অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও ইভটিজিং হতে সমাজকে রক্ষা করতে হবে। দুর্নীতি দূর করতে চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে জানিয়ে শ ম রেজাউল বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দায়সারা কাজ শেখ হাসিনার আমলে হতে পারে না। জনগণের সেবক হয়ে মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ কেউ আর শুনতে চায় না।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা নগরীর উন্নয়নে আরও যৌক্তিক পরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি করে কেডিএ-এর নির্মাণাধীন আবাসিক প্রকল্পসমূহের ড্রেনেজ ও আবর্জনা অপসারণের কার্যকর ব্যবস্থা রাখার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি কেডিএকে আরও জনঘনিষ্ট করার দাবি জানান।