সাবেক চেয়ারম্যান হাসান বাহিনীর কাছে জিম্মি সৈয়দপুরবাসী

422

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : উঠতী বয়সী তরুণদের নিয়ে একটি বাহিনী গঠনের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সৈয়দপুর সাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসানের বিরুদ্ধে।আবুল হাসান জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা। আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বলে জানাগেছে।অভিযোগ উঠেছে, এই বাহিনীর দ্বারা প্রতিনিয়িত হয়রানীর শিকার হন এলাকার নিরীহ মানুষজন। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও নারাজ। কথা মতে না চললে হেনেস্থার শিকার হতে হয়।অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী দিয়ে আবুল হাসান সবসময় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চলাফেরার সবসময় তিনি ছাত্রলীগের একটি অংশকে বহর হিসেবে ব্যবহান করেন।বাহিনীর মধ্যে রয়েছে সৈয়দ মিজান আহমেদ, রুম্মান আহমেদ, সৈয়দ সাইদুল ইসলাম, গোলজার আহমেদ, রাজু মিয়া।এ বিষয়ে সৈয়দপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ সাবির মিয়া বলেন, ‘আমাদের সৈয়দপুর গ্রাম অনেক আগ থেকেই অস্থিতিশীল। একটি চক্র গ্রামের শান্তি নষ্ট করতে এই ষড়যন্ত্র করছে। তবে এর আড়ালে যেই থাকুক না কেন তাকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।’

২০১৩ সালে রমজান মাসে এই বাহীনির রুম্মান, মিজান, রায়হানের নেতৃত্বে হামলায় শিকার হন সৈয়দপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সৈয়দ রফু মিয়া। এই হামলায় তিনি পঙ্গত্বও বরণ করেন। তিনি এখনও নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন। এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার একটি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন হামলার শিকার রফু।হামলায় শিকার রফুর অভিযোগ করে বলেন, আমাকে মেরে ফেরতেই মূলত এই হামলা করিয়ে ছিলো মোহাম্মদ আবুল হাসান (হাসান বাহীনি)। আল্লাহ সহায় ছিলেন অস্ত্র দিয়ে গুলি করার পরও আমি বেচে আছি।কয়েক বছর পার হবার পরও এই বাহিনী আবারও নতুন করে হামলায় হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় তিনি নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন।গেল ইউপি নির্বাচনে সৈয়দপুর সাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তৈয়র কামালীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন আবুল হাসান। পরাজয়ের পর বেশ কিছুদিন তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেন। পরে দেশে এসে আবারো রাজনীতিতে সক্রিয় হন।সম্প্রতি তার বাহীনি দ্ধারা সৈয়দপুর সাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের অফিসের হামলা করা হয়। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়ব কামালী বলেন, ‘এরা (আবুল হাসান বাহীনি) অনেকবার আমার অফিসে হামলা করেছে। আমি এবিষয়ে জগন্নাথপুরে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। এলাকায় কেউ শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করতে চাইলে তাদেরকে ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।’এসময় তিনি আরও বলেন, আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও ইউপি পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সে বেপোরুয়া হয়ে উঠেছে। তবে এব্যাপারে কথা বলতে মোহাম্মদ আবুল হাসানের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে (০১৭২০….২২) যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জগন্নাথুপর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমার কাছে নতুন করে এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।