আসিকুজ্জামানঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে নারীদের উত্যক্তকারী গ্যাংস্টার গ্রুপের ০৫ সদস্য অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করে। আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৫ নভে¤¦র ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুলা থানাধীন উত্তর ইসদাইর বটতলা গাবতলীস্থ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নারীদের উত্যক্তকারী গ্যাংস্টার গ্র“পের ০৫জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলোঃ ১। মোঃ কামরুল হাসান (৩৭), ২। মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৮), ৩। মোঃ আলমগীর হোসেন (২৮), ৪। মোঃ জীবন মিয়া (২৭), ও ৫। শ্রী লিটন চন্দ্র দাস (৩৫)। গ্রেফতারের পর তাদের তলাশি করে ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০১টি ম্যাগজিন, ১২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ০৫টি রামদা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা নিজেদেরকে গ্যাংস্টার গ্র“পের সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।
প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা সবাই গ্যাংস্টার গ্র“পের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন ভাবে ঐ এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারী ও মেয়েদের শ্লীলতাহানি করে আসছে বিশেষ করে পোষাক শিল্পগামী নারীদের উত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রবল। গ্যাংস্টার গ্র“পের সদস্যরা বিভিন্ন সময় ফতুলা থানা ও এর আশপাশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এলাকাবাসী এই গ্যাংস্টার গ্র“পের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলেও অস্ত্রের ভয়ে কখনো কেউ মুখ খুলত না বা প্রতিবাদ করার সাহস পেত না। তাদের এই গ্র“পের নেতৃত্ব দেন গাবতলী নতুন বাজার এলাকার উজ্জল নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী। উজ্জল বর্তমানে পলাতক আছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় গ্যাংস্টার গ্র“পের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জের গাবতলী এলাকায় সন্ত্রাসী ও ছিনতাই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা সাধারণ জনগনের সাথে থাকা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগ চাকু বা বেøড দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছোঁ মেরে ছিনতাই করে দ্রæত পালিয়ে যায়। এ ছাড়াও ঐ এলাকায় কোন অপরিচিত লোক আসলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিত। এসকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ র্যাব-১১ গ্যাংস্টার গ্র“পের সদস্যদের উপর গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে আসছিল। গত ২৪ অক্টোবর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে উক্ত গ্যাংস্টার গ্র“পের ০৭ জন’কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৫ নভে¤¦র ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বিকালে র্যাব-১১ কর্তৃক এই গ্যাংস্টার গ্র“পের আরও ০৫ জন সক্রিয় সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।