সময়ের চিন্তা ডট কমঃ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নাগরিকদের সুবিধার্থে হেল্পলাইন চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এখন থেকে ৩৩৩ নম্বরের মাধ্যমে ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন ধরনের সেবা ও সেবার তথ্য মোবাইল ফোনেই পাবেন নাগরিকরা।
অনুষ্ঠানে পলক বলেন, ‘তথ্য সেবা সবসময়’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রধামন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ৩৩৩ এর উদ্বোধন করেন। এই সেবার সঙ্গে আজ থেকে যুক্ত হলো ডিএনসিসি। মেয়র বারবার এজন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তার স্পৃহাতেই সিটি কর্পোরেশনের সেবাগুলো ডিজিটাল হলো। এরইমধ্যে আমরা আমাদের ‘এক-সেবা’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরকারি প্রায় ১৬৪টি সেবা ডিজিটালভাবে দিচ্ছি। কেউ যদি নিরক্ষরও হয় তিনিও সেবা পাবেন ৩৩৩-এ। তিনি ফোন দিয়ে সেবা চাইলে সিটি করপোরেশন থেকে লোক তার কাছে গিয়ে সেবা দেবেন, ফরম পূরণ করে দেবেন। এই শহরের দেড় কোটি মানুষকে ডিজিটাল মাধ্যমে বিশ্বের আধুনিক সেবা দিতে চাই।
অন্যান্য হেল্পলাইনগুলোর সঙ্গে ‘৩৩৩’-কে যুক্ত করা হবে বলেও জানান পলক। এ লক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে বলে জানান তিনি। এর মাধ্যমে অন্যান্য সংস্থাগুলোর সেবাও এক জায়গা থেকেই নাগরিকদের দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ প্রতিমন্ত্রীর।
এদিকে, ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগে কোনো সময় নাগরিকেরা আমাদের ফোন করতো না। এখন থেকে ফোন করতে পারবে, প্রশ্ন করতে পারবে; সেবা ও হয়রানি নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতার চ্যালেঞ্জ এটা। নাগরিকদের সেবা আমাদের দিতে হবে।
মেয়র আতিক আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে ৫৪টি ওয়ার্ড থেকেই জন্মসনদ দেওয়ার। এরপর পরিকল্পনা আছে জন্মসনদ, ট্রেড লাইসেন্সের মতো দলিল ঘরে বসেই ডেলিভারি নিতে পারবেন নাগরিকেরা। এখন খাবার যেমন ঘরে বসেই অর্ডার করে পাওয়া যায়, তেমনি সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ধরনের সেবা ঘরে বসেই নাগরিকেরা পাবেন এমন উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।