সময়ের চিন্তা ডট কমঃসাভারের আশুলিয়ায় পৃথক দুটি অভিযানে মা-ছেলে এবং দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও হিরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার গভীর রাতে আশুলিয়ার নিরিবিলি ও কাঠগড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আটকৃতরা হলো- আশুলিয়ার নিরিবিলি মুক্তধারা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে তুহিন সরদার (২৪) ও তার মা বকুল বেগম (৫২) এবং বাদল মিয়া ও আব্দুল কাদির। ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক কাউছার সুলতান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আশুলিয়ার নিরিবিলি মুক্তধারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চালিয়ে প্রথমে মাদক ব্যবসায়ী তুহিন সরদারকে আটক করা হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ২২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তুহিনকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তুহিনের মায়ের কাছে থাকা ২২০ পুড়িয়া হিরোইন ও বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে মোট ১ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ও ৭৭০ পুড়িয়া হিরোইন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, মাদক ব্যবসায়ী তুহিন সরদার ও মা বকুল বেগম আশুলিয়া ও ধামরাই থানা এলাকাসহ আশপাশের থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। তুহিনের বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা ও তুহিনের মায়ের বিরুদ্ধে ৩টি মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আশুলিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ গণি মিয়ার নেতৃত্বে আশুলিয়ার কাঠগড়া চৌরাস্তার পাশে মানিকের কলার আড়তে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটকৃতরা হলো- শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার আন্ধার পাড়া গ্রামের মোঃ আজিজুল হকের ছেলে মোঃ বাদল মিয়া ওরফে মিলন (২৮) ও বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার সলিমাবাদ গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ আব্দুর কাদির (৩৪)। এসময় বাদল মিয়ার কাছ থেকে ১৬০ পিস এবং আব্দুল কাদিরের কাছ থেকে ৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও হিরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের এ অভিযান চলবে।