সময়ের চিন্তা ডট কমঃ কাশিপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে বিএনপির আহমেদ আলীকে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বানিয়েছে সাইফুল্লাহ বাদল। যিনি বিএনপির পরিচিত ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পুরো কাশিপুরে সর্বজন পরিচিত। এই আহমেদ আলী ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীর উপর চালায় নির্যাতনের ষ্টীম রোলার এমনকি অনেক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়।
৮ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছেন বিএনপির অতি পরিচিত নেতা আবদুর রশিদ পোকন এবং সাধারন সম্পাদক পদে বিএনপির আরেক নেতা বিএনপির ক্যাডার হাসানের অন্যতম সহযোগি মো.নাসির।৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন মো.হুমায়ূন কবীরকে যিনি দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকার যুবদল ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ফরিদের আপন ভাই। হুমায়ূনের আরেকটি পরিচয় তিনি সাইফুল্লাহ বাদলের ভাই আমিরুল্লাহ রতনের মেয়ের উকিল বাবা।এছাড়াও ২ নং ওয়ার্ডে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন আরেক বিএনপি নেতা বদু ওরফে ডিস বদু। যিনি বিএনপির আরেক ক্যাডার হাসানের অন্যতম সেনাপতি সালাউদ্দিনের ভাই।
এছাড়াও জাতীয় পাটির অনেক নেতাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেয়া হয়েছে গুরুত্বপুর্ন পদ-পদবী। এ নিয়ে কাশিপুরে তৃনমুল নেতাদের মাঝে ক্রমেই বেড়ে চলছে ক্ষোভ। তারা বাদললীগের অবসান দুর করে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা এবং নারায়ণগঞ্জের গনমানুষের নেতা সাংসদ শামীম ওসমানের আওয়ামীলীগ চাই।এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.সাইফুল্লাহ বাদলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।অওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পরিবর্তে বিএনপি নেতাদের দিয়ে কাশিপুরে বিভিন্ন ওয়ার্ড গঠন নিয়ে তৃনমুলের মাঝে যেই সমস্যা সৃষ্টি করেছেন সাইফুল্লাহ বাদল তা সমাধানে সাংসদ শামীম ওসমানের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন কাশিপুরের সর্বস্তরের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।