সময়ের চিন্তা ডট কমঃ কাশিপুরের তৃনমুল নেতাদের দাবী সাইফুল্লাহ বাদল নয়,আমরা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের কমিটিতে ত্যাগী ও নির্যাতিত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীর পরিবর্তে বিএনপির লোক দিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে ফুসে উঠেছে দীর্ঘদিন যাবত দলের সাথে থাকা নেতাকর্মীরা। সেই সেই ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম.সাইফুল্লাহ বাদলের বিরুদ্ধে ফুসেঁ উঠছে নেতাকর্মীরা।
আবদুল আউয়াল,সোলেমান,মুসলিমসহ নাম প্রকাশে একাধিক নেতাকর্মী জানান,সাইফুল্লাহ বাদলের হঠকারিতা সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কারন বহিরাগত বিএনপি-জামাতের সাথে আতাত করে তাদেরকে আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ে উচ্চ আসনে বসিয়ে সম্মান করছেন আর দলের জন্য নিবেদিত প্রান সক্রিয় নেতাকর্মীদেরকে তিনি অবমুল্যায়ন করছেন। একটি সদস্য ফরম বিতরন অনুষ্ঠানে সাইফুল্লাহ বাদল নিজেই বলেছেন,বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ শুদ্ধ অভিযান চলছে। যারা বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামীলীগে এসেছে এবং বিভিন্ন অপকর্ম করে চলছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আপনারা দেখবেন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা আওয়ামীলীগে এসেছে। আওয়ামীলীগের লোক দিয়েই আওয়ামীলীগের দল চলবে অন্য কারোর দরকার নেই। কিন্তু বিভিন্ন দল থেকে আগত চিহিৃত সেই ব্যক্তিদেরকে তিনি নিজেই চিহিৃত করে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক,সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সভাপতি পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পদে আসীন করছেন।
আবু তালেব নামে ৯নং ওয়ার্ডের এক আওয়ামীলীগ নেতা ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন,বাদল ভাই যেটা করছেন তিনি সংগঠনের পরিপন্থীর মত। তিনি বিএনপির নেতাদেরকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের উচ্চ পদে আসীন করছেন আর যারা দীর্ঘদিন যাবত দলের নিবেদিত প্রান হিসেবে কাজ করছেন তাদেরকে অবমুল্যায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে তিনি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে আহমেদ আলীকে দিয়েছেন। যিনি বিএনপির পরিচিত ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পুরো কাশিপুরে সর্বজন পরিচিত। এই আহমেদ আলী ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীর উপর চালায় নির্যাতনের ষ্টীম রোলার এমনকি অনেক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়।
৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন মো.হুমায়ূন কবীরকে যিনি দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকার যুবদল ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ফরিদের আপন ভাই। হুমায়ূনের আরেকটি পরিচয় তিনি সাইফুল্লাহ বাদলের ভাই আমিরুল্লাহ রতনের মেয়ের উকিল বাবা।এছাড়াও ২ নং ওয়ার্ডে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন আরেক বিএনপি নেতা বদু ওরফে ডিস বদু। যিনি বিএনপির আরেক ক্যাডার হাসানের অন্যতম সেনাপতি সালাউদ্দিনের ভাই।
আবু তালেবের মত অনেকেই বলেন,আমরা কোন ভাইয়ের ব্যক্তিগত আওয়ামীলীগ করিনা আমরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ করি। আমরা নারায়ণগঞ্জের প্রান পুরুষ একেএম শামীম ওসমানের রাজনীতি করি। যাদের ভেতরে রয়েছে নীতি ও আদর্শ। সাইফুল্লাহ বাদল ভাই কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে যা খুশি তাই রছে। যার দরুন তিনি আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদেরকে বাদ দিয়ে বিএনপি নেতাদেরকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের মুল্যবান পদে আসীন করছেন। তিনি একজন নীতিহীন মানুষ। তিনি রাজনীতি করেন ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থে নয়। যদি দলের স্বার্থ নিয়ে সাইফুল্লাহ বাদল রাজনীতি করতেন তাহলে আওয়ামীলীগের নেতা বাদ দিয়ে বিএনপি নেতাদের দিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতেন না। আমরা কাশিপুরে সেই আওয়ামীলীগ চাই যে আওয়ামীলীগে কোন স্বাধীনতা বিরোধীরা থাকতে পারেনা। তারা আরও বলেন,বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপি নেতাদের দিয়ে যে সকল কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদেরকে যদি বাদ না দেয়া হয় তাহলে কাশিপুরের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা গনহারে পদত্যাগ করবে।
আমরা কাশিপুরের সর্বস্তরের আওয়ামীলীগ ও সহযোগী নেতৃবৃন্দরা সাংসদ শামীম ওসমানের সার্বিক সুদৃষ্টি কামনা করছি যেন কাশিপুরের প্রতিটি ওয়ার্ডের কমিটি ত্যাগী ও পরিক্ষিত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.সাইফুল্লাহ বাদলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও কা বন্ধ পাওয়া যায়।