আশিকুজ্জামানঃর্যাব-১১ এর অভিযানে কক্সবাজার থেকে বাসযোগে অভিনব পন্থায় ইয়াবা পাচারকালে ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক।৯ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার।র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাচাঁতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ১২০০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলায় বন্দর থানাধীন মদনপুর বাসষ্ট্যান্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র্যাব-১১ এর চেকপোষ্টে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি চেয়ার কোচে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে উক্ত চেয়ার কোচে তল্লাশী করে চেসিসের ভিতরে অভিনব পন্থায় রক্ষিত ৯ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং ইয়াবা পাচারের দায়ে ০২জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো ১। মোঃ সাগর আহম্মেদ(৩০) ও ২। মোঃ জুয়েল(২৯)। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সাগর আহম্মেদ এর বাড়ি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন বাঘাধারি এলাকায় এবং মোঃ জুয়েল এর বাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানাধীন সাদিকপুর এলাকায়। উক্ত মাদক ব্যাবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার থেকে ঢাকায় সুকৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে।
গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় গ্রেফতারকৃত মোঃ সাগর আহম্মেদ পেশায় এক জন বাসের হেলপার। সে বাসের হেলপার পেশার আড়ালে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা কক্সবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করে আসছে। মূলত বাসের হেলপার তার একটি ছদ্মবেশ মাত্র। জিজ্ঞাসাবাদে আরো স্বীকার করে যে তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে মাদক ব্যবসা করে আসছে এবং তাদের একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।