সময়ের চিন্তাঃআজকের সমাজে বিভিন্ন অপকর্ম ছেঁয়ে গেছে। এই অপকর্মে পরিবেষ্টিত সমাজকে মুক্ত করার জন্যই একটি ভালো সংগঠন গড়ে তোলা দরকার। সেই সাথে ভালো নেতৃত্ব দরকার এসব সংগঠনগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
একজন রাজনৈতীক ব্যক্তিত্ব নিজে প্রতিষ্ঠিত হবার পর চেষ্টা করে কিভাবে নিজেদের আখের গুছানো যায়। কি ভাবে গাড়ি ও বাড়ির মালিক হওয়া যায়। এবং কি করে অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। এগুলো নিয়ে আমরা রাজনৈতীক ব্যক্তিরা চিন্তা করি। এবং এই সংকট থেকে বের হবার চেষ্টাও করি।
অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ বন্ধ করে থাকলে হবে না। অন্যায় যেখানে সেখানেই কথা বলতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। মাদক সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই মাদক ব্যবসা কারা করে? ক্যাডার বাহিনী দিয়ে করানো হয়। দিনের বেলায় মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করি এরপর রাতের বেলায় মাদক ব্যবসার টাকা ভাগ বাটোয়ারা করি এই হলো আমাদের সমাজের অবস্থা।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে সমাজ গবেষণা ও অনুশীলন কেন্দ্র (বিবর্তন’র) ১ম সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে সমাজে রাজনৈতীক নেতৃত্ব এমন হওয়া উচিত যাদের মধ্যে থাকবে দেশপ্রেম ও আদর্শ। আমরা যারাই রাজনীতিতে আছি; সকলের কথা বলবো না কিন্তু কিছু কিছু সমাজে যেমন কু-চক্রী রয়েছে তেমনি রাজনীতির মধ্যেও এমনিই ব্যক্তিত্ব আছে। রাজনীতিতে সত্য লোকদের প্রতিষ্ঠীত করা দরকার। সেই সত্য লোক প্রতিষ্ঠা করতে হলে সমাজে যারা জ্ঞাণী এবং দেশকে নিয়ে ভাবে তাদের সহযোগীতা অবশ্যই প্রয়োজন।
সমাজে এখন এমন অবস্থা চলেছে যে, নির্বাচনে কোন ভালো লোক দাঁড়ালে তখন আমরাই বলি তার কোন ক্যাডার নাই, গুন্ডা নাই, মাস্তান নাই কাজেই তাকে দিয়ে কিছু হবে না। এই চিন্তা মাথায় নিয়ে যদি দেশে এবং রাজনৈতীক চর্চা চালিয়ে যাওয়া হয় তাহলে দেশের অমঙ্গল অনিবার্য।
এ সময় বিবর্তনের আহবায়ক ছড়াকার ও সংবাদিক ইউসুফ আলী এটম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোণা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান, বিবর্তনের আহাবায়ক কমিটির সদস্য মলয় দাস চন্দ্রন, আমরা নারায়ণগঞ্জ বাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা নুর উদ্দিন প্রমুখ।