আশিকুজ্জামানঃনারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড ও মদনপুর এলাকায় র্যাব-১১ এর পৃথক অভিযানে ০৫ চাঁদাবাজ গ্রেফতার।র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ন এলাকায় চাঁদাবাজি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। উক্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে র্যাব-১১ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে সন্ধ্যায় র্যাব-১১, সিপিএসসি এর পৃথক অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোডস্থ এবং বন্দর থানাধীন মদনপুর সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস, লেগুনা, সিএনজি ও অটোরিক্সা থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে ০৫ জন’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। হুমায়ুন কবির (৩৭), ২। আসাদ মোল্লা (৪৭), ৩। জামাল (৩৮) ৪। মোঃ কাজী এরশাদুজ্জামান (৩৬) এবং ৫। আব্দুর রহিম (৪৮)। এ সময় তাদের দখল হতে চাঁদাবাজির সর্বমোট নগদ ২১,৯৪০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
উপস্থিত স্বাক্ষী, পরিবহন চালক ও গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডস্থ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস ও সিএনজি থামিয়ে গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক গাড়ী প্রতি ১০০/- থেকে ২০০/- টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে উক্ত চুাদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। হুমায়ুন কবির, ২। আসাদ মোল্লা ও ৩। জামাল’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তাদের দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ৮,৭৪০/- টাকা জব্দ করা হয়। চাদাবাজির পৃথক আরেকটি অভিযানে বন্দর থানাধীন মদনপুর সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য ১। মোঃ কাজী এরশাদুজ্জামান ও ২। আব্দুর রহিম’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তার দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ১৩,২০০/- টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ মদনপুর সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থামিয়ে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে দৈনিক প্রতি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা হতে ৮০/- টাকা থেকে ১৫০/- টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে। আসামীরা এরূপ অপতৎপরতা পূর্বে হতে করে আসছে মর্মে স্বীকার করে। তাদের অত্যাচারে পরিবহন চালকরা অতিষ্ঠ।
উলেখ্য যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজি রোধকল্পে গত জুন ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ হতে এই পর্যন্ত র্যাব-১১ এর ধারাবাহিক অভিযানে মোট ৩২টি মামলা দায়ের করা হয় এবং মোট ৯০ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।