স্টাফ রিপোর্টারঃসিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক ও এএসআই আমিনুল হকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগি।
ভূয়া ওয়ারেন্টে জেল খাটানো এবং অসদাচরণ করার অভিযোগ এনে ২৪ ডিসেম্বর আ. আজিজ নামে এক ব্যক্তি ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি কদমতলী নয়াপাড়া এলাকার মদল খাঁন ওরফে মঙ্গল খানের ছেলে এবং চেীধুরী বাড়ী বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মাইক ব্যবসায়ী।
তিনি তার অভিযোগে দাবি করেন, ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই আমিনুল হক তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে দাবি করে আটক করে। কিন্তু সেই ওয়ারেন্টের আসামীর স্থলে তার নাম ঠিক থাকলেও পিতার নাম মুন্টা আলী আহম্মেদ লেখা। আর এই আসামী তিনি নন বা তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই দাবি করে সেদিন এএসআই আমিনুলকে তার জাতীয় পরিচয়পত্রও দেখায়। কিন্তু এতেও তিনি কর্ণপাত না করে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে না পেয়ে থানায় নিয়ে যায়।
আজিজ আরও উল্লেখ করেন, থানায় যেয়ে তিনি ওসি কামরুল ইসলাম ফারুককেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখান এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই দাবি করেন। কিন্তু ওসিও কোনো রকম কর্ণপাত না করে তাকে গালাগাল করে চালান দিতে বলেন। এবং ১১ ডিসেম্বর সিআর মামলা নম্বর ৭৫৭ এর ওয়ারেন্টে তাকে আদালতে চালান করা হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তিনি পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিনে এসে পুনরায় ওসি কামরুল ইসলাম ফারুকের সাথে থানায় দেখা করে এর সুবিচার প্রার্থনা করলে ওসি তাকে একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে তিনদিন পর দেখা করতে বলেন। তিনদিন পর তিনি পুনরায় ওসির কাছে গেলে ওসি তাকে সমাধান না করে উল্টো গালাগাল করেন এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে আরও ভয়াবহ মামলায় জীবনভর জেল খাটানোর হুমকি দেন।
এ বিষয়ে সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারের সময় নাম, পিতার নাম যাচাই করা হয়েছে। পরে তাকে থানায় নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি। এবং ওসি স্যারকেও অবগত করেছি। এরপর কি হয়েছে আমার কিছু জানা নেই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি সঠিক নয়। ওয়ারেন্ট ছাড়া কোনো আসামি গ্রেফতার করা হয়নি।