মরা মুরগী ডাস্টবিন থেকে সংগ্রহ করে খাবার হোটেলগুলোতে সাপ্লাই করতো তারা

334

স্টাফ রিপোর্টারঃশহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারগুলোর মুরগী ব্যবসায়ীদের ফেলে দেয়া মরা মুরগী ডাস্টবিন থেকে সংগ্রহ করতো তাঁরা। পরবর্তীতে শহরের খাবার হোটেলগুলোতে ডাস্টবিন থেকে তুলে আনা মরা মুরগীগুলো সাপ্লাই করতো তারা। এভাবেই ঘৃণ্য একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিলো। সেই চক্রের সাথে জড়িত অনু দাস ও তার সহযোগী জব্বার প্রতিদিনের মত ডাস্টবিন থেকে তুলে আনা মরা মুরগি সংগ্রহ করে নগরীর প্রেসিডেন্ট রোডে অবিস্থিত খাবার হোটেলগুলোতে সাপ্লাই করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে অনু দাস। এসময় এ সময় অনুদাসকে গ্রেপ্তার করে এক বছরের কারাদন্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যায় অনুর সহযোগী জব্বার।

গ্রেপ্তার হওয়া অনু দাস ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষ স্বীকার করে জানান, প্রতিদিন ডাস্টবিন থেকে মৃত মুরগি সংগ্রহ করে তাদের চক্রটি বিভিন্ন খাবার হোটেলে সরবরাহ করে। বেশ কিছুদিন যাবৎ সে তাদের সঙ্গে মিলে নগরীর খাবার হোটেলগুলোতে মৃত মুরগি সরবরাহ করে আসছিল। প্রতিটি দোকান থেকে এর জন্য তারা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পেত।

নগরীর কোন কোন হোটেলে তারা মৃত মুরগি সরবরাহ করে জানাতে চাইলে অনু দাস বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট রোডের কয়েকটা দোকান আর হকার মার্কেটের হোটেলগুলায় এই মুরগি বেচি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আমরা ১ একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে ১ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে এই মুরগী হোটেলে রাখার অপরাধে মক্কা-মদিনা স্টোরকে ২০ হাজার ও মক্কামদিনা হোটেলকে ৫০ হাজার মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।