সময়ের চিন্তাঃজানুয়ারিতে সারা দেশে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হয়েছিল শৈত্যপ্রবাহ। সারা দেশের মানুষকে কাঁপিয়ে ছেড়েছে এই শীত। এখন অবশ্য শীতের তীব্রতা নেই। উল্টো বৃষ্টি ঝরেছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে।
তবে ৬ জানুয়ারি পর একটি এবং এ মাসের শেষ দিকে আরেকটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সামছুদ্দিন আহমেদ আরও জানান, আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমে যাবে। জানুয়ারি মাসে দুটি তীব্র এবং একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে সময় কনকনে শীত অনুভূত হবে।
৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সামছুদ্দিন বলেন, এরপর তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে, গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হবে।
শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের আগে জানুয়ারি মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বিস্তারিত জানান অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন।
আর সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী শীত ও শৈত্যপ্রবাহে মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ সময় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সারা দেশে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঢাকায় ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় শুক্রবার থেকে হালকা বা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার কুয়াশা থাকতে পারে।