স্টাফ রিপোর্টারঃনারায়ণগঞ্জর সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল আবাসিক এলাকায় পাথর পুড়িয়ে তৈরী করা হচ্ছে চুন। কারখানাগুলোতে পোড়া চুনের কালো ধোঁয়া ও কোণ্ডলীর ছাই উড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। পোড়া চুনের গ্যাসের কারণে আশপাশের মানুষের নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় বলে অভিযোগ পরিবেশবিদদের। সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল আবাসিক এলাকার ফার্মেসী ও প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট জনতি রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে এলাগুলোতে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীমানা ঘেঁষে তিনটি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় চুন প্রস্তুতের জন্য পাথর আনা হয়। ট্রাক থেকে পাথর নামিয়ে রাখা হয় মহাসড়কের ওপর। এসময় যান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিয়ন বহির্ভূত ভাবে চুন প্রস্তুত করছে রনি লাইমস ও সুরমা লাইমস প্রতিষ্ঠান দুটি। তিন দশক ধরে গ্যাসের আগুনে কারখানাগুলোতে পাথর পুড়িয়ে চুন তৈরি করছে। চোন প্রস্তুতকারী কারখানা গুলো মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় আবাসিক এলাকায় নিষিদ্ধ হওয়া সত্তেও তারা চুন প্রস্তুত করছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। চোনের গন্ধ আর কালো ধোঁয়ার দূষণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকার মানুষ।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাঈদ আনোয়ার জানান, ঘনবসতিপূর্ন আবাসিক এলাকায় থেকে চুন কারখানা গুলোকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে ছয় মাসের সময় দেয়া হয়েছে কারখানা গুলোর মালিকপক্ষকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠনগুলো স্থান পরিবর্তন করতে ব্যার্থ হলে পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবে না। এছাড়া তাদের গ্যাস সংযোগসহ অন্যান্য সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে রনি লাইমস ও সুরমা লাইমস প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয় নি।