আশিকুজ্জামানঃ র্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের চাঁনমারি বস্তির মাদক সম্রাজ্ঞী সাজু ০১ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাচাঁতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৬ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারি বস্তি এলাকায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত র্যাব-১১ এর অভিযানে ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। মোছাঃ সাজেদা আক্তার সাজু (৩০), স্বামীঃ মৃত বিপ্লব ও ২। সোলায়মান (২৮)। এসময় তাদের দখল হতে ০১ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ২৬,২৪০/- টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোছাঃ সাজেদা আক্তার সাজু এর বাড়ী জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানাধীন কামরাবাদ এলাকায় এবং সোলায়মান এর বাড়ী একই জেলার সদর থানাধীন ইটাইল এলাকায় হলেও তারা নারায়ণগঞ্জের চাঁনমারি বস্তিতে বসবাস করে আসছে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় গ্রেফতারকৃত মোছাঃ সাজেদা আক্তার সাজু নিহত মাদক সম্রাট বিপ্লবের স্ত্রী। মাদক সম্রাট বিপ্লব গত ১৫ জুলাই ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও সেই চাঁনমারি বস্তি এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সে চাঁনমারি বস্তির একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসার দায়ে বহুবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারও হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ০৭ টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে সাজু উক্ত চাঁনমারি বস্তিতে বিভিন্ন মাদক সেবনকারীদের কাছে অবাধে গাঁজা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত সোলায়মানও এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।