কবি সেলিম মিয়ার স্বরচিত কবিতা “মুজিব মনের একটু‌ চাওয়া”

407

 

মুজিব মনের একটু‌ চাওয়া

–সেলিম মিয়া।

দশই জানুয়ারি, বাহাত্তর, পূর্ণতা পেয়েছিল বাংলাদেশ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা;
দুই হাজার বিশে এসে, মুজিব বর্ষের ক্ষণ- গণনায়, আজ বাঙালির স্বাদ পূর্ণ হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের উৎসব, উৎসাহ,আতস বাজির খেলায়, আনন্দ উদ্দীপনা,
সর্বোত্তম শ্রদ্ধা নিবেদনে, কার্পন্যহীন মুজিব মনের কিছু চাওয়া কাঁধে এসে, ভর করেছে।

প্রচন্ড দেশপ্রেম,সততা,একাগ্রতা,আত্মত্যাগ মৃত্যুকে ভয় নাপাওয়া,
ন্যায়ের লক্ষ্যে অবিচল থেকে, জনবান্ধব দল ও দেশ পরি-চালনায় লোভের উর্ধ্বে উঠুক উঁচু’চেয়ার।

রাষ্ট্র প্রধানের সদিচ্ছায়, কিছু দুঃখী মানুষের মুখে, হাসি ফুটেছে সত্য; তবে,তা’
স্থানীয় দলের ছত্রছায়ায়, ব্যাক্তি দরদ উথলে ওঠে অসমতা বন্টনে হারিয়েছে।

ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দুঃখীদের খুঁজে বের করে, সমতা বন্টনে হাসি ফোটাতে
মুজিব আদর্শ হোক আজ পথচলার পাথেয়, বৈষম্য বিলোপ মুজিব বর্ষ হোক আমাদের উপহার।

ঘাতকের বুলেটে রক্তাক্ত বিদায় নিলেও মুজিব, উন্নয়ন অনন্ত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে,
ভূমিহীনের ঘরে, বিপুল কর্মযজ্ঞ কর্তব্যের বর্ণমালায় রক্ত দিয়ে ঋণ শোধ করেছেন।

ভবিষ্যত প্রজন্মকে দল মতের উর্ধ্বে থেকে করে গেছেন রক্ত ঋণী;
মানুষের হৃদয়ে, চিরস্থায়ী মহান বিজয় সমুজ্জল মুজিব, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানায়ক হয়ে আছেন।

মুজিব মনের মানুষের একটু চাওয়া,বাংলার সব মানুষ,পেট ভরে খাবে,
নতুন কাপড় পরবে,বেকার যুবক চাকরি পাবে, মাদক সন্ত্রাস মুক্ত শান্তির পথ, সুখের ঘর পাবে।

সুন্দর উন্নত অসাম্প্রদায়িক, ভেদাভেদহীন, বৈষম্যহীন, গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে,
বিশৃঙ্খল পৃথিবীর, শৃঙ্খলার মাঝে,
নোবেলজয়ীর মতো; মুজিব পদক চলবে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বরণে, মুজিব স্বরণে,
ধর্মীয় উপাসনালয়ে, প্রতিটি জুম্মাবার,
প্রার্থণায় প্রার্থণায়, বিদেহী আত্মার মাগ- ফেরাত কামনায়, মুজিব মনে শান্তি চায়।