রাজাকার আল-বদরেরও একটা নীতি ছিল-শামীম ওসমান

490

স্টাফ রিপোর্টারঃনারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছে, আমরা কেবল রাজাকার, রাজাকার, আল-বদর বলে চিল্লাচ্ছি। রাজাকার আল-বদরেরও একটা নীতি ছিল। ওরা পাকিস্তানে বিশ্বাস করতো। ওরা ওদের পাপের শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু রাজাকার বেশি ভয়ঙ্কর নাকি খন্দকার মোশতাকরা? পেছন থেকে দরজাটা খুলে দিয়েছিল কে?

১১.০১.২০ তারিখ শনিবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় শামীম ওসমান এমন কথা বলে।

দেশে আরেকটি ১৫ আগস্টের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেন, এখানে আপনারা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে এসেছেন। আর মাথার উপরে শকুন ঘুরছে আরেকটা ১৫ আগস্টের জন্য। এবার টার্গেট করা হবে শেখ হাসিনাকে। আবার যদি ১৫ আগস্টের মতো কিছু হয় তাহলে বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যা করতে চেয়েছিল। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।

শামীম ওসমান বলে, সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কত ঘটা করে পালন করা হচ্ছে। তাহলে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো সেদিন আমরা কোথায় ছিলাম? সেদিন এভাবে জেগে উঠতে পারিনি কেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সেদিন রাস্তায় বের হতে পারলো না কেন? এ প্রশ্নগুলো তো আসতেই পারে। অনেকে এটাকে অন্যভাবে নেন। আসল কারণ হচ্ছে আমরা একটু অপ্রস্তুত ছিলাম। আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি। পাকিস্তানি বাহিনী যাকে স্পর্শ করতে পারেনি কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এদেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমরা লোকটিকে মেরে ফেললাম। বিদেশ থেকে কেউ আসেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা বেঁচে না থাকলে হয়তো বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রদ্রোহী আর মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার হিসেবে সাজা হতো।

তিনি বলে, সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে ২নং মুক্তিযোদ্ধারা ভালো অবস্থানে রয়েছে। ’৭১ সালে যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তারা এখন ঠিকমতো খেতেও পান না। অথচ নামধারী মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে অঢেল সম্পদের মালিক।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলো জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন বেগম, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু প্রমুখ।