স্টাফ রিপোর্টারঃফতুল্লায় পাওনা ৫ হাজার টাকা চাওয়া অপরাধে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আব্দুর রহিম (৩৫) কে ছুরিকাঘাত করে খুন হয়েছে। পুলিশ এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মূলহোতা সাদ্দাম হোসেন আসিফ (২৭) সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে হত্যার আলামত নষ্ট করার অপরাধে হত্যাকারীর মা ও খালাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসিফ ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার আমির খসরুর ছেলে ও আসিফের মা রাজিয়া (৫৫) খালা সুলতানা বেগম (৫০)।
১৮.০১.২০ তারিখ শনিবার ভোর রাতে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের হাসাইল এলাকা হতে আসিফ এবং মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকা হতে খুনির মা ও খালাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭.০১.২০ তারিখ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় এ হত্যান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে আসিফকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত আব্দুর রহিম শরিয়তপুরের জাজিরা থানার মাঝিকান্দির ইমান আলীর ছেলে। তারা স্বপরিবার ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইলিয়াস সরদারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (আইসিপি) আজগর হোসেন জানায়, পাওনা ৫ হাজার টাকা চাওয়ার অপরাধে আসিফ সহ কয়েকজন মিলে আব্দুর রহিমকে কুপিয়ে হত্যা করে। আর এ ঘটনায় আসিফকে বিক্রমপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর হত্যার আলামত নষ্ট করার অপরাধে আসিফের মা রাজিয়া ও খালা সুলতানা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজারহার সূত্রে জানা গেছে, মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইমান আলীর ছেলে রহিম ইলেকট্রিকের কাজ করে। সে কিছুদিন আগে আসিফের বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করার বাবদ ৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় রহিম আসিফকে দেখে পাওনা টাকা চায়। সেই টাকা চাওয়ার কারনে আসিফের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে আসিফসহ আরো কয়েকজন মিলে রহিমকে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।