আশিকুজ্জামানঃনারায়ণগঞ্জের তারাবো ও ভূলতা গাউছিয়া এলাকায় র্যাব-১১ এর পৃথক অভিযানে ০৪ চাঁদাবাজ গ্রেফতার।র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ন এলাকায় চাঁদাবাজি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। উক্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে র্যাব-১১ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২০ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে দুপুরে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর পৃথক অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন ভূলতা গাউছিয়া মোড় এবং তারাবো মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রাবাহী বাস, লেগুনা, সিএনজি ও অটোরিক্সা থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে ০৪ জন’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। মোঃ আরমান হোসেন (৩৮), ২। কাজী আমিনুল ইসলাম, ৩। মোঃ সেলিম (৩২) ও ৪। মশিউর রহমান মুকুল (৩৫)। এ সময় তাদের দখল হতে চাঁদাবাজির সর্বমোট নগদ ১৩,৭৩০/- উদ্ধার করা হয়।
উপস্থিত স্বাক্ষী, পরিবহন চালক ও গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন ভূলতা গাউছিয়া ও এর আশপাশে যে কোন স্থানে যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজি চালকদের কাছ থেকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক গাড়ী প্রতি ১০০/- থেকে ২০০/- টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন ভূলতা গাউছিয়া মোড়ে রাস্তায় চলাচলরত পণ্য যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজি থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে উক্ত চাঁদাবাজ চক্রের ১। মোঃ আরমান হোসেন, ২। কাজী আমিনুল ইসলাম ও ৩। মোঃ সেলিম’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ১১,৬৮০/- টাকা জব্দ করা হয়। চুাদাবাজির পৃথক আরেকটি অভিযানে রূপগঞ্জ থানাধীন তারাবো মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত মিতালী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে চাঁদাবাজ মশিউর রহমান মুকুল’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ২,০৫০/- টাকা জব্দ করা হয়। উক্ত গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রীবাহী মিতালী পরিবহনের বাস থামিয়ে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে দৈনিক প্রতি বাস থেকে ৫০/- টাকা থেকে ১৫০/- টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে উলেখিত যানবাহনের চালকদের নিকট হতে গুরুতর আঘাত ও ক্ষয়ক্ষতির ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। এ সকল চাঁদাবাজদের অত্যাচারে যানবাহন চালকরা অতিষ্ঠ। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজি রোধকল্পে গত জুন ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ হতে এই পর্যন্ত র্যাব-১১ এর ধারাবাহিক অভিযানে মোট ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয় এবং মোট ৯৮ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।