সময়ের চিন্তাঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪আইআর) ও সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও সংশ্লিষ্ট অন্যদেরকে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আজ নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ছয় দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন এন্ড প্ল্যানিং ল্যাব’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪আইআর) ও সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলা করা। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমাদের দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার বাস্তবে রূপ দিতে ই-গভর্নেন্স কোর্স চালুসহ ‘ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ইউজিসিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম’ চালু হলে শিক্ষার্থীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গতিশীলতা আসবে। সৃষ্টি হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির পরিবেশ।’
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ১৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিফর্মড ইউনিভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এবং ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরির ‘ডিজাইন এবং পরিকল্পনা ল্যাব’ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, দাপ্তরিক কর্মকর্তাসহ অভিভাবকগণ যে কোন জায়গা থেকে এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘এতে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় হবে। তথ্যপ্রযুক্তি আজ জীবনের অতি প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।’২০১৮ সালের শুরু থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সরাসরি নির্দেশনা, পরামর্শ ও তত্ত¡াবধানে সকল মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত ‘ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’ তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।’
গত ১৬ জানুয়ারি গণপূর্ত অধিদপ্তরে শুরু হওয়া ছয় দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন এন্ড প্ল্যানিং ল্যাব’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি) ডিজিটাল সার্ভিস এক্সিলারেটর, এটুআই ও আইসিটি বিভাগের সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের অয়োজন করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক, এম.পি, শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান, আইসিটি ডিভিশনের সিনিয়র সচিব, এনএম জিয়াউল আলম, এটুআই-এর ফরহাদ জাহিদ শেখ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্মানিত উপাচার্যগণ, বিশবিদ্যালয় শিক্ষকগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, বঙ্গভবনেসর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, গবেষকগণ এবং উচ্চ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।