নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত

744

সময়ের চিন্তাঃ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আনোয়ার হোসেন ইউছুফ (৪৪) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তিনি আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সরদার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৭টি ডাকাতিসহ ১২টি মামলা রয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে বীরকোট এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। পুলিশের বলছে, ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ৭ রাউন্ড গুলির খোসা, ৩টি রামদা, ১টি টর্চ লাইট ও ১টি গ্যাসলাইট উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ডাকাত সরদার আনোয়ার হোসেন ওরফে ইউছুফ বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব লাউতলী গ্রামের আবু তাহের ওরফে ওলি উল্যার ছেলে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লোকেশ মহাজন ও কনস্টেবল আবদুর রহমান। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনোয়ার হোসেন ওরফে ইউছুফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরবর্তীতে তাকে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় রাতে তার দল ডাকাতি করার কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলের সহযোগিতায় বীরকোট এলাকায় অভিযান চালায় সেনবাগ থানা পুলিশ।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত ইউছুফের সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে, আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউছুফ পুলিশের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করলে, অজ্ঞাত সহযোগিদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। পরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলেও জানান ওসি।

জেলা পুলিশ সুপার(এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১ টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ৭ রাউন্ড গুলির খোসা, ৩টি রামদা, ১টি টর্চ লাইট ও ১ টি গ্যাসলাইট উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, নিহত ইউছুফ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতির ঘটনায় ৭টি, ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় ৩টি, সিঁধেল চুরির ঘটনায় ১টি ও অস্ত্র আইনে ১টিসহ মোট ১২টি মামলা রয়েছে।